ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

► ১০ বছরেও সংশোধন চূড়ান্ত হয়নি ► তিন সচিবের সিদ্ধান্তে হিসাব নেওয়া বন্ধ

বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখতে হিসাব দিতে অনীহা শীর্ষ কর্মকর্তাদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / 61
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হিসাব না দিতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা নানা কৌশল করছেন।

এতে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানসহ সরকারের অনেক কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও সরকারি দপ্তরে কোনো তথ্য নেই। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি এবার আলোচনায় এসেছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত বৈধ আয়ের বাইরে বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে সম্পদের হিসাব দিতে অনীহা।

আমলাদের একটি অংশের ভাষ্য, কর্মচারীদের এই বিধিমালা সেকেলে এবং বর্তমানে তা প্রতিপালনযোগ্য নয়। কারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন আয়কর রিটার্ন জমা দেন এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত টিন নম্বর রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালের আইন।

জিয়াউর রহমান আইনটি প্রণয়ন করেন। তিনি অবৈধ স্বৈরশাসক ছিলেন, তাঁর আইন এখনো বহাল রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া যাঁরা এ বিধিমালা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত, তাঁরাই সম্পদের হিসাব দেন না। এই বিধিমালা সংশোধনীর নামে ১০ বছর সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

বিধিমালাটি করা হয়েছিল ৪৪ বছর আগে। এরপর ২০০২ ও ২০১১ সালে তা সংশোধন করা হয়। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো সংশোধন করা হয়নি। তাই ২০১৪ সালে ফের সংশোধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১০ বছরেও চূড়ান্ত করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২২ সালের ১৬ জুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাবের বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ হালনাগাদ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর উল্টো সম্পদের হিসাবে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সচিবদের এক সভা শেষে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের আর আলাদা করে সম্পদের হিসাব সরকারকে দিতে হবে না। এন‌বিআর, আমি এবং জনপ্রশাসনসচিব বসেছিলাম। বিষয়‌টি পরিষ্কার করে দিয়েছি, সম্পদের হিসাব আর আলাদা করে দেওয়ার দরকার নেই। প্রতিবছর রিটার্ন দাখিলের সময় এক পৃষ্ঠায় সম্পদের যে বিবরণী দি‌তে হয়, সে‌টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবেন সরকারি কর্মচারীরা।’

সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা এখনো কার্যকর আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অ্যাকশন তারা নিয়েছে কি না, কোনো সার্কুলার দিয়েছে কি না, সেটি আমি জেনে নিই।’

এদিকে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে বহুবার চিঠি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে অনেকবার কথা বলেছেন। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ এতে পাত্তা দেননি। এ সুযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযুক্ত কর্মকর্তারাও পার পেয়ে যাচ্ছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাঁরা সম্পদের হিসাব চেয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগে তাঁদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এতে অধস্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা বার্তা যাবে। তাহলে এ উদ্যোগ সহজে বাস্তবায়ন হবে।

কেন এই লুকোচুরি
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি দপ্তরের পিয়ন থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির বিষয়টি সবারই জানা। এতে একজন আরেকজনকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অনেক অফিস সহকারী, গাড়িচালকের শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বৈধ আয়ের বাইরে বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে সম্পদের হিসাব দিতে অনীহা।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকের বেতনের বাইরেও আয় আছে। এই আয়ের হিসাব দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অনলাইনে জমা দেওয়ার বিধান চালু করতে হবে। তাহলে সহজেই জমা দেওয়া যাবে এবং পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে।

উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আয়কর রিটার্নে কর্মকর্তাদের পুরো সম্পদের হিসাব পাওয়া যায় না। আবার কেউ পুরো সম্পদের হিসাব জমা না দিলে ব্যবস্থা নেওয়ারও কোনো সুযোগ থাকে না। সব দিক বিবেচনা করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করে আগমী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে।

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নেওয়া হয়। ওই হিসাব বস্তাবন্দি হয়ে পড়ে আছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। সেগুলো পর্যালোচনা করে বলা হয়নি, কার সম্পদ বেড়েছে বা কমেছে। এরপর ২০১৫ সালে শুধু ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হলেও তা পর্যালোচনা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

► ১০ বছরেও সংশোধন চূড়ান্ত হয়নি ► তিন সচিবের সিদ্ধান্তে হিসাব নেওয়া বন্ধ

বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখতে হিসাব দিতে অনীহা শীর্ষ কর্মকর্তাদের

আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হিসাব না দিতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা নানা কৌশল করছেন।

এতে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানসহ সরকারের অনেক কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও সরকারি দপ্তরে কোনো তথ্য নেই। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি এবার আলোচনায় এসেছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত বৈধ আয়ের বাইরে বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে সম্পদের হিসাব দিতে অনীহা।

আমলাদের একটি অংশের ভাষ্য, কর্মচারীদের এই বিধিমালা সেকেলে এবং বর্তমানে তা প্রতিপালনযোগ্য নয়। কারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন আয়কর রিটার্ন জমা দেন এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত টিন নম্বর রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালের আইন।

জিয়াউর রহমান আইনটি প্রণয়ন করেন। তিনি অবৈধ স্বৈরশাসক ছিলেন, তাঁর আইন এখনো বহাল রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া যাঁরা এ বিধিমালা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত, তাঁরাই সম্পদের হিসাব দেন না। এই বিধিমালা সংশোধনীর নামে ১০ বছর সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

বিধিমালাটি করা হয়েছিল ৪৪ বছর আগে। এরপর ২০০২ ও ২০১১ সালে তা সংশোধন করা হয়। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো সংশোধন করা হয়নি। তাই ২০১৪ সালে ফের সংশোধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১০ বছরেও চূড়ান্ত করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২২ সালের ১৬ জুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাবের বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ হালনাগাদ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর উল্টো সম্পদের হিসাবে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সচিবদের এক সভা শেষে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের আর আলাদা করে সম্পদের হিসাব সরকারকে দিতে হবে না। এন‌বিআর, আমি এবং জনপ্রশাসনসচিব বসেছিলাম। বিষয়‌টি পরিষ্কার করে দিয়েছি, সম্পদের হিসাব আর আলাদা করে দেওয়ার দরকার নেই। প্রতিবছর রিটার্ন দাখিলের সময় এক পৃষ্ঠায় সম্পদের যে বিবরণী দি‌তে হয়, সে‌টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবেন সরকারি কর্মচারীরা।’

সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা এখনো কার্যকর আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অ্যাকশন তারা নিয়েছে কি না, কোনো সার্কুলার দিয়েছে কি না, সেটি আমি জেনে নিই।’

এদিকে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে বহুবার চিঠি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে অনেকবার কথা বলেছেন। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ এতে পাত্তা দেননি। এ সুযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযুক্ত কর্মকর্তারাও পার পেয়ে যাচ্ছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাঁরা সম্পদের হিসাব চেয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আগে তাঁদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এতে অধস্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা বার্তা যাবে। তাহলে এ উদ্যোগ সহজে বাস্তবায়ন হবে।

কেন এই লুকোচুরি
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি দপ্তরের পিয়ন থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির বিষয়টি সবারই জানা। এতে একজন আরেকজনকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অনেক অফিস সহকারী, গাড়িচালকের শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বৈধ আয়ের বাইরে বাড়তি আয় লুকিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে সম্পদের হিসাব দিতে অনীহা।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকের বেতনের বাইরেও আয় আছে। এই আয়ের হিসাব দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অনলাইনে জমা দেওয়ার বিধান চালু করতে হবে। তাহলে সহজেই জমা দেওয়া যাবে এবং পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে।

উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আয়কর রিটার্নে কর্মকর্তাদের পুরো সম্পদের হিসাব পাওয়া যায় না। আবার কেউ পুরো সম্পদের হিসাব জমা না দিলে ব্যবস্থা নেওয়ারও কোনো সুযোগ থাকে না। সব দিক বিবেচনা করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করে আগমী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে।

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নেওয়া হয়। ওই হিসাব বস্তাবন্দি হয়ে পড়ে আছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। সেগুলো পর্যালোচনা করে বলা হয়নি, কার সম্পদ বেড়েছে বা কমেছে। এরপর ২০১৫ সালে শুধু ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হলেও তা পর্যালোচনা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।