পঞ্চগড়ে সড়কের কাজ বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
- / 123
হায়দার আলী, পঞ্চগড় :
সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী এলাকায় ১ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তায় ইটের খোয়া বিছানোর পর আর কাজ করা হয়নি। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলাসহ অস্স্থু রোগীদের চলাচলে ও স্থানীয় কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনে সমস্যায় পড়তে হয়।
সরজমিনে গিয়ে ওই সড়কে দেখা হয় ভ্যান চালক নাজমুল (৪০) সাথে। তিনি বলেন, এই সড়কে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। কোন যাত্রী উঠলে পূর্বের ভাড়া দেয়। বাড়তি ভাড়া কেউ দিতে চায় না। রাস্তাটি পাকা হলে চলাচল করতে সুবিধা হবে।
উত্তর প্রধান পাড়া গ্রামের যুবক শাহিন (৪০) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চার-পাঁচ হাজার লোক যাতায়াত করে। আমাদের এই রাস্তাটি দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে এ অবস্থায় পড়ে আছে। এই রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী।
মাগুড়া বাঁশবাড়ী গ্রামের নারী শিমু (২২) বলেন, এই রাস্তাটার জন্য আমাদের এলাকায় যানবাহন আসতে চায় না। আমাদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত এই রাস্তা পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ ৪-৫ বছর আগে এই সড়কে ইটের খোয়া ফেলে রাখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুরো কাজ শেষ করেনি। ফলে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাঁশবাড়ী গ্রামের বৃদ্ধ মফিজ উদ্দিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমাকে সব সময় যেতে হয়। রাতে সাইকেলে চরে যাওয়া যায় না । সাইকেল নিয়ে হেঁটে যেতে হয়। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় অনেকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পঞ্চগড় সদর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বন্ধ রাখে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পঞ্চগড় সদরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, ২০২১ সালে পঞ্চগড়-আটোয়ারী সওজ রাস্তার পূর্ব প্রধান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তা ভায়া বাঁশবাড়ি ও বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার (চেইনেজ ০০-১০০০ মিটার) সড়কের উন্নয়ন কাজের ব্যয় ধরা হয় ৬১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৫৩ টাকা।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের কে হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার কামরুল হাসান কাজটি পায়। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর কাজটি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দুইবার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এই পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ঠিকাদার কামরুল হাসানের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদ জামান বলেন, সম্প্রতি উক্ত ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। অবশিষ্ট কাজ বাস্তবায়নের জন্য নতুন ঠিকাদার নির্ধারণের টেন্ডার আহ্বান করার অনুমোদন চেয়ে প্রকল্প পরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহবানপূর্বক ঠিকাদার নির্বাচন করে সম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন