ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

সেমিতে থেমে গেল কমলা ঝড়

টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / 51
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০২৪ জার্মান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংলিশরা। এর আগে ২০২১ সালের ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সদের।

বুধবার জার্মানির ডর্টমুন্ডে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল ইংল্যান্ড। চেষ্টা করছিল ধীর গতিতে আক্রমণে ওঠার। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তারা শুরু থেকেই আক্রমণের খেলায় নেমেছিল। ফলে চার মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে তারা। গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডের সৌজন্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বেশিক্ষণ ডাচদের ঠেকাতে পারেনি তারা। ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে উঠেন জাভি সিমন্স। কিছুটা দূর থেকেই জালে শট নেন তিনি। যার নাগালই পাননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। পরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে ডাচ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। বারবার আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে বসে ডাচরা, ১৬ মিনিটে হ্যারি কেনের শট ফেরাতে গিয়ে ফাউল করেন ডেনজেল ডামফ্রিস। কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেই সুবিধা নিয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অধিনায়ক। ইউরোর নকআউটে এটা কেনের ষষ্ঠ গোল। ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ৫টি গোল আছে গ্রিজম্যানের।

নেদারল্যান্ডসও গোল পেতে পারতো। এবার বাঁধা হয়ে উঠেন পিকফোর্ড। হেডের বল মুহূর্তেই উপরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে ডামফ্রিসের নেওয়া হেড বারে না লাগলে তখনই ব্যবধান বাড়াতে পারত নেদারল্যান্ডস। ডাচদের পর পোস্ট হতাশ করে ইংল্যান্ডকেও। ৩২ মিনিটে ডাচ বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেওয়া শট ফিরে আসে ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

বিরতির পর দুই দলই সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে। এমন উত্তেজনাহীন খেলার মধ্যেই সাহসী চাল দেন সাউথগেট। গোলদাতা হ্যারি কেনকে তুলে নিয়ে নামালেন ওলি ওয়াটকিন্সকে। কোল পামার এলেন ফিল ফোডেনের জায়গায়। সবাই যখন অতিরিক্ত সময়ের অপেক্ষায় ঠিক তখনই ৯০ মিনিটে বদলি নামা ওয়াটকিন্স করলেন দুর্দান্ত এক গোল। তার এই গোলেই নেদারল্যান্ডসকে ২–১ গোলে হারিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

এই জয়ে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের বাইরে আয়োজিত কোনো বড় টুর্নামেন্টে ফাইনালের টিকিট পেল ‘থ্রি লায়ন’রা। পাশাপাশি এ জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড। আগের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। এবার সেই যন্ত্রণা ভোলার সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড। আগামী রোববার রাতে বার্লিনের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। যারা অন্য সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েছিল ২–১ গোলে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

সেমিতে থেমে গেল কমলা ঝড়

টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড

আপডেট সময় : ১০:২২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

 

২০২৪ জার্মান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংলিশরা। এর আগে ২০২১ সালের ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সদের।

বুধবার জার্মানির ডর্টমুন্ডে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল ইংল্যান্ড। চেষ্টা করছিল ধীর গতিতে আক্রমণে ওঠার। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তারা শুরু থেকেই আক্রমণের খেলায় নেমেছিল। ফলে চার মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে তারা। গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডের সৌজন্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বেশিক্ষণ ডাচদের ঠেকাতে পারেনি তারা। ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে উঠেন জাভি সিমন্স। কিছুটা দূর থেকেই জালে শট নেন তিনি। যার নাগালই পাননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। পরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে ডাচ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। বারবার আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে বসে ডাচরা, ১৬ মিনিটে হ্যারি কেনের শট ফেরাতে গিয়ে ফাউল করেন ডেনজেল ডামফ্রিস। কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেই সুবিধা নিয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অধিনায়ক। ইউরোর নকআউটে এটা কেনের ষষ্ঠ গোল। ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ৫টি গোল আছে গ্রিজম্যানের।

নেদারল্যান্ডসও গোল পেতে পারতো। এবার বাঁধা হয়ে উঠেন পিকফোর্ড। হেডের বল মুহূর্তেই উপরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে ডামফ্রিসের নেওয়া হেড বারে না লাগলে তখনই ব্যবধান বাড়াতে পারত নেদারল্যান্ডস। ডাচদের পর পোস্ট হতাশ করে ইংল্যান্ডকেও। ৩২ মিনিটে ডাচ বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেওয়া শট ফিরে আসে ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

বিরতির পর দুই দলই সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে। এমন উত্তেজনাহীন খেলার মধ্যেই সাহসী চাল দেন সাউথগেট। গোলদাতা হ্যারি কেনকে তুলে নিয়ে নামালেন ওলি ওয়াটকিন্সকে। কোল পামার এলেন ফিল ফোডেনের জায়গায়। সবাই যখন অতিরিক্ত সময়ের অপেক্ষায় ঠিক তখনই ৯০ মিনিটে বদলি নামা ওয়াটকিন্স করলেন দুর্দান্ত এক গোল। তার এই গোলেই নেদারল্যান্ডসকে ২–১ গোলে হারিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

এই জয়ে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের বাইরে আয়োজিত কোনো বড় টুর্নামেন্টে ফাইনালের টিকিট পেল ‘থ্রি লায়ন’রা। পাশাপাশি এ জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড। আগের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। এবার সেই যন্ত্রণা ভোলার সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড। আগামী রোববার রাতে বার্লিনের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। যারা অন্য সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েছিল ২–১ গোলে।