ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আইওএম’কে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / 70
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থাকে (আইওএম) উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবনে আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আন্তর্জাতিক যেসব অংশীদার রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছিল তার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নতুন অংশীজন খোঁজার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহেরও আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যামি পোপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্যাম্পগুলো অত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। মিয়ানমারে সংঘাত চলছে, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে নানান দল-উপদল আছে, গ্রুপিং আছে, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ-সংঘাত আছে। সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে অনেক সংর্ঘষ হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে পর্যাথপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে এখন স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। রোহিঙ্গারাই সংখ্যায় বেশি। সেখানে যে সীমিত সম্পদ আছে তা নিয়ে অনেক সময় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।

ভাষাণচরে অধিকতর ভালো আবাসন ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে আরও মানুষের আবাসনের সুযোগ আছে। সেখানে এক লাখ মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা আছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাষাণচরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ভাষানচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আইওএম’কে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

 

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থাকে (আইওএম) উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবনে আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আন্তর্জাতিক যেসব অংশীদার রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছিল তার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নতুন অংশীজন খোঁজার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহেরও আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যামি পোপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্যাম্পগুলো অত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। মিয়ানমারে সংঘাত চলছে, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে নানান দল-উপদল আছে, গ্রুপিং আছে, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ-সংঘাত আছে। সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে অনেক সংর্ঘষ হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে পর্যাথপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে এখন স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। রোহিঙ্গারাই সংখ্যায় বেশি। সেখানে যে সীমিত সম্পদ আছে তা নিয়ে অনেক সময় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।

ভাষাণচরে অধিকতর ভালো আবাসন ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে আরও মানুষের আবাসনের সুযোগ আছে। সেখানে এক লাখ মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা আছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাষাণচরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ভাষানচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।