ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা

সীমান্তে হত্যা নিষ্ঠুরতা, এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন : ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 140
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং শান্তিতে নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মুহম্মদ ইউনূস বলেন, “সীমান্তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটির সমাধানের জন্য আইনগত পথ-পদ্ধতি রয়েছে। কাউকে হত্যা করা কখনও কোনো সমাধান নয়।”

“সীমান্তে হত্যার যে ব্যাপারটি নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে…এসব হত্যাকাণ্ড কিন্তু একতরফা। যারা সীমান্ত অতিক্রম করে, তারা নিতান্তই সাধারণ লোকজন।

আপনাদের রাষ্ট্র দখল করার কোনো ইচ্ছে, পরিকল্পনা বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তাদেরকে হত্যা করা আসলে একপ্রকার নিষ্ঠুরতা এবং এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

সাক্ষাৎকারে দুই দেশের পানিবণ্টন সমস্যা, বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিয়েও কথা বলেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এটি নতুন কোনো ইস্যু নয়, বরং অনেক পুরোনো। অতীতে অনেক বার অনেক উপলক্ষে আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। আমরা চুক্তি চুড়ান্ত করতে চাই, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও চায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার চায় না। এই ইস্যুটি আমাদের সমাধান করতে হবে।”

শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করতে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ত্যাগ করার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন ইউনূস।

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনের নামে যারা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম পরিচালিত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ বিচার করার জন্য আমরা তাকে ফেরত আনতে চাই।

তিনি ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মাঝে মাঝে কথা বলছেন। এটা সমস্যা তৈরি করছে। যদি তিনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। মানুষও এটা ভুলে যেত, যদি তিনি নিজের জগতেই থাকতেন। কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন, কেউই এটা পছন্দ করছে না।’’

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সীমান্তে হত্যা নিষ্ঠুরতা, এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন : ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ১২:৩০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং শান্তিতে নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মুহম্মদ ইউনূস বলেন, “সীমান্তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটির সমাধানের জন্য আইনগত পথ-পদ্ধতি রয়েছে। কাউকে হত্যা করা কখনও কোনো সমাধান নয়।”

“সীমান্তে হত্যার যে ব্যাপারটি নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে…এসব হত্যাকাণ্ড কিন্তু একতরফা। যারা সীমান্ত অতিক্রম করে, তারা নিতান্তই সাধারণ লোকজন।

আপনাদের রাষ্ট্র দখল করার কোনো ইচ্ছে, পরিকল্পনা বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তাদেরকে হত্যা করা আসলে একপ্রকার নিষ্ঠুরতা এবং এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

সাক্ষাৎকারে দুই দেশের পানিবণ্টন সমস্যা, বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিয়েও কথা বলেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এটি নতুন কোনো ইস্যু নয়, বরং অনেক পুরোনো। অতীতে অনেক বার অনেক উপলক্ষে আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। আমরা চুক্তি চুড়ান্ত করতে চাই, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও চায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার চায় না। এই ইস্যুটি আমাদের সমাধান করতে হবে।”

শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করতে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ত্যাগ করার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন ইউনূস।

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনের নামে যারা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম পরিচালিত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ বিচার করার জন্য আমরা তাকে ফেরত আনতে চাই।

তিনি ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মাঝে মাঝে কথা বলছেন। এটা সমস্যা তৈরি করছে। যদি তিনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। মানুষও এটা ভুলে যেত, যদি তিনি নিজের জগতেই থাকতেন। কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন, কেউই এটা পছন্দ করছে না।’’

সূত্র : ইউএনবি