ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রিভিউ শুনানি মুলতবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 24
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) চার আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আবেদনকারীর পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার সকালে এই দিন ধার্য করেন।

বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় এখনেও পাইনি।’ আদালত বলেন, ‘ক্রম অনুসারে বিষয়টি এলে বলতে পারেন, প্রার্থনা কী?’

এ সময় বিএনপির পক্ষে অপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘রিভিউ শুনানিতে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় দরকার। তাই দুই সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। এরপর আদালত শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।’

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ১৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। এর আগে ১ ডিসেম্বর এ রিভিউটি শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর আগে একই বিষয়ে ২৭ আগস্ট রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া জামায়াত ইসলামীও একটি রিভিউ আবেদন করে। পরে এসব রিভিউ আবেদনের একত্রে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন আপিল বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রিভিউ শুনানি মুলতবি

আপডেট সময় : ১১:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) চার আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আবেদনকারীর পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার সকালে এই দিন ধার্য করেন।

বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় এখনেও পাইনি।’ আদালত বলেন, ‘ক্রম অনুসারে বিষয়টি এলে বলতে পারেন, প্রার্থনা কী?’

এ সময় বিএনপির পক্ষে অপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘রিভিউ শুনানিতে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় দরকার। তাই দুই সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। এরপর আদালত শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।’

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ১৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। এর আগে ১ ডিসেম্বর এ রিভিউটি শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর আগে একই বিষয়ে ২৭ আগস্ট রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া জামায়াত ইসলামীও একটি রিভিউ আবেদন করে। পরে এসব রিভিউ আবেদনের একত্রে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন আপিল বিভাগ।