চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

- আপডেট সময় : ০৫:২৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 26
চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীনের পাল্টা শুল্কের জবাবে নেওয়া এই পদক্ষেপকে ‘প্রতিশোধমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে এই শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়। পরে স্থানীয় সময় বুধবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস।
নতুন এই শুল্কহার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্কের সঙ্গে ২০ শতাংশ ফেন্টানিল-সম্পর্কিত অতিরিক্ত কর এবং ‘সেকশন ৩০১’ এর আওতায় আরোপিত শুল্ক মিলিয়ে মোট কর দাঁড়াচ্ছে ২৪৫ শতাংশে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, ইলেকট্রিক যানবাহন (ইভি) এবং সিরিঞ্জসহ নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ ‘সেকশন ৩০১’ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এসব পণ্যে অতিরিক্ত কর যুক্ত হয়ে শুল্কের মাত্রা চূড়ান্তভাবে ২৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
‘সেকশন ৩০১’ শুল্ক মূলত চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া এক ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, যা তথাকথিত “অন্যায্য বাণিজ্য নীতি” মোকাবেলায় প্রযোজ্য হয়।
এই ধারার আওতায় শুল্কহার ৭.৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “চীনের কোর্টেই এখন বল। তাদেরই আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। আমাদের চীনকে কিছু দিতে হবে না।”
ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট তার পক্ষে এই বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে অন্যান্য দেশের পার্থক্য শুধু আকারে তারা বড় এবং তারা আমাদের সব কিছু চায়।”
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।