ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েট ভিসির পদত্যাগে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ মিছিল

ডেইলি আর্থ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 4

কুয়েট ভিসির পদত্যাগে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ মিছিল

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরিফুল আলমের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির খবরে ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফটক থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে তারা আনন্দ মিছিল করেন।

মিছিলকারীরা জাতীয় পতাকা ও নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন ছিল ন্যায়ের পথে এক অটল সংগ্রাম। আজকের বিজয় সেই সংগ্রামের প্রথম ধাপ।”

তারা আরও জানান, তাদের দাবি শুধু ভিসির পদত্যাগ নয় স্বচ্ছ, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠা।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা চাই রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। কিন্তু যাঁরা এই দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন, তারাই আজ অন্ধকার রাজনীতির শিকার হয়েছেন। চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া ন্যায়ের পরাজয়।”

তারা আরও উল্লেখ করেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা বারবার চলতে থাকলে তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কুয়েট শিক্ষক সমাজ এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়।

এর জেরে শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি, অনশন ও আন্দোলন চালিয়ে গেলে অবশেষে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত সচল করতে কুয়েট প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই নতুন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের চোখে এই দিনটি কুয়েট ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন তারা অপেক্ষায় একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থার, যেখানে ন্যায়বিচার এবং শিক্ষার পরিবেশই হবে প্রাধান্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুয়েট ভিসির পদত্যাগে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ মিছিল

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরিফুল আলমের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির খবরে ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফটক থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে তারা আনন্দ মিছিল করেন।

মিছিলকারীরা জাতীয় পতাকা ও নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন ছিল ন্যায়ের পথে এক অটল সংগ্রাম। আজকের বিজয় সেই সংগ্রামের প্রথম ধাপ।”

তারা আরও জানান, তাদের দাবি শুধু ভিসির পদত্যাগ নয় স্বচ্ছ, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠা।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা চাই রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। কিন্তু যাঁরা এই দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন, তারাই আজ অন্ধকার রাজনীতির শিকার হয়েছেন। চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া ন্যায়ের পরাজয়।”

তারা আরও উল্লেখ করেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা বারবার চলতে থাকলে তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কুয়েট শিক্ষক সমাজ এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়।

এর জেরে শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি, অনশন ও আন্দোলন চালিয়ে গেলে অবশেষে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত সচল করতে কুয়েট প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই নতুন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের চোখে এই দিনটি কুয়েট ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন তারা অপেক্ষায় একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থার, যেখানে ন্যায়বিচার এবং শিক্ষার পরিবেশই হবে প্রাধান্য।