ডেইলি আর্থ অনলাইন ডেস্ক
অশুভ শক্তির চক্রান্ত নস্যাৎ করতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নয়াপল্টনে এক বিশাল সমাবেশে তিনি বলেন, আমি স্বাধীনতাকামী জনগণকে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই এবং আমি নিজেও সজাগ থাকতে চাই যে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ শাসনের সহযোগীরা এখনো দেশের প্রশাসনে, বিভিন্ন পদে এবং বিদেশেও তৎপর রয়েছে, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল করতে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দলের সমর্থন পুন:র্ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রশাসনকে কখনই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
তারেক বলেন, “তবে অন্তর্র্বতী সরকার যদি নিজেকে সজাগ রাখতে চায়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা এখন মানুষের দাবি,” বলেন তারেক।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে দলটি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিকেল ৩টা ৩২ মিনিটে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী, রঙিন টুপি পরে নয়াপল্টনে দুপুর থেকে ব্যাপক শোডাউনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
কাকরাইল মসজিদ থেকে ফকিরেরপুল পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট ও আশপাশের এলাকায় বিএনপি সমর্থকদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি হওয়ায় ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে অগ্রসর হয়।
দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিকৃতি বহন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচন ও তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, সৈন্য ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে।