ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 71
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।

বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে বিদেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। বন্যায় যেসব এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানী নেইপিদো।

দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে, বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক নিউ লাইট বলছে, গৃহহীনদের জন্য কিছু অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

মিয়ানমারে আঘাত হানার আগে ভিয়েতনাম, চীনের হাইনান এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছে একে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রবল বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা খতিয়ে দেখছেন।

রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩৩ জনের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু প্রচারমাধ্যমে বলছে, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছে।

টাংগুর এক উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজকে জানিয়েছেন, সিতাং নদীর পূর্ব তীরে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। তিনি বলেন, লোকজনকে উদ্ধার করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত নৌকা নেই।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টাইফুন এবং হারিকেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, তিন বছরের গৃহযুদ্ধে মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৬ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।

বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে বিদেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। বন্যায় যেসব এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানী নেইপিদো।

দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে, বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক নিউ লাইট বলছে, গৃহহীনদের জন্য কিছু অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

মিয়ানমারে আঘাত হানার আগে ভিয়েতনাম, চীনের হাইনান এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছে একে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রবল বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা খতিয়ে দেখছেন।

রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩৩ জনের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু প্রচারমাধ্যমে বলছে, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছে।

টাংগুর এক উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজকে জানিয়েছেন, সিতাং নদীর পূর্ব তীরে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। তিনি বলেন, লোকজনকে উদ্ধার করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত নৌকা নেই।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টাইফুন এবং হারিকেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, তিন বছরের গৃহযুদ্ধে মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৬ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।