ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলে কমেছে প্রবাসী আয়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদে প্রবাসীরা দেশে থাকা পরিবার-পরিজনদের খরচের জন্য বাড়তি অর্থ পাঠায়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়ে। কিন্তু এবারের ঈদের মাসে প্রবাসী আয় আগের মাসের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেখা যায়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি নয়লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৯২ মার্কিন ডলার। আগের মাস মার্চে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় আসে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৬ ডলার। আবার গত বছরের এপ্রিল মাসের একই সময়ে প্রতিদিন এসেছিল ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার। গত বছরের এপ্রিল মাসে ঈদ ছিল না।

এদিকে বিএমইটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ তিন মাসে কাজ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭ জন। অর্থাৎ তিন মাসের গড়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৪৫ জন। আগের বছর ২০২৩ সালে বৈধপথে কাজ নিয়ে বিদেশ গিয়েছেন ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৩ জন। এ বছর প্রতিমাসে দেশের বাইরে গিয়েছেন একলাখ আট হাজার ৭৮৭ জন। তার আগের বছর ২০২২ সালের প্রতি মাসে বিদেশে গিয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৫৬ জন।

এ জনশক্তি রপ্তানি ধারা আগের বছর ২০২৩ সাল ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জনশক্তি রপ্তানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আগের বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এর ফলে হুন্ডির আধিপত্য বেড়ে প্রবাসী অ্যায় কমেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী সংশ্লিষ্টরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এপ্রিলের ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬ কোটি এক লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এপ্রিলে কমেছে প্রবাসী আয়

আপডেট সময় : ১০:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে প্রবাসীরা দেশে থাকা পরিবার-পরিজনদের খরচের জন্য বাড়তি অর্থ পাঠায়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়ে। কিন্তু এবারের ঈদের মাসে প্রবাসী আয় আগের মাসের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেখা যায়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি নয়লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৯২ মার্কিন ডলার। আগের মাস মার্চে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় আসে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৬ ডলার। আবার গত বছরের এপ্রিল মাসের একই সময়ে প্রতিদিন এসেছিল ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার। গত বছরের এপ্রিল মাসে ঈদ ছিল না।

এদিকে বিএমইটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ তিন মাসে কাজ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭ জন। অর্থাৎ তিন মাসের গড়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৪৫ জন। আগের বছর ২০২৩ সালে বৈধপথে কাজ নিয়ে বিদেশ গিয়েছেন ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৩ জন। এ বছর প্রতিমাসে দেশের বাইরে গিয়েছেন একলাখ আট হাজার ৭৮৭ জন। তার আগের বছর ২০২২ সালের প্রতি মাসে বিদেশে গিয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৫৬ জন।

এ জনশক্তি রপ্তানি ধারা আগের বছর ২০২৩ সাল ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জনশক্তি রপ্তানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আগের বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এর ফলে হুন্ডির আধিপত্য বেড়ে প্রবাসী অ্যায় কমেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী সংশ্লিষ্টরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এপ্রিলের ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬ কোটি এক লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।