ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / 61
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সন্ধান পাওয়া গ্যাস কূপে আজ থেকে খনন কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। খনন কাজের জন্য ১২০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাপেক্স এ খনন কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে অবস্থিত কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

খনন প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। আগামী ১২০ দিন চলবে খনন কাজ। দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন- এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর এ বেগমগঞ্জ জোনে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে ১৯৭৬ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে মিলে আরেকটি কূপের সন্ধান। কিন্তু ড্রিলিং করার পর কোনো গ্যাস মেলেনি ওই দুটি কূপে। পরবর্তীতে একই অঞ্চলে ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনে সফলতা মেলে এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন শুরু

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সন্ধান পাওয়া গ্যাস কূপে আজ থেকে খনন কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। খনন কাজের জন্য ১২০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাপেক্স এ খনন কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে অবস্থিত কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

খনন প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। আগামী ১২০ দিন চলবে খনন কাজ। দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন- এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর এ বেগমগঞ্জ জোনে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে ১৯৭৬ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে মিলে আরেকটি কূপের সন্ধান। কিন্তু ড্রিলিং করার পর কোনো গ্যাস মেলেনি ওই দুটি কূপে। পরবর্তীতে একই অঞ্চলে ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনে সফলতা মেলে এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।