ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / 68
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিতর্কিত ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করেছিল। একপর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির নামে হেফাজত ও তাদের সহযোগীরা পুরো রাজধানীজুড়েই তাণ্ডব চালায়। ওই দিন মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেফাজতের অবস্থানের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চালায়। পরে তারা মতিঝিল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী ওই ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ২২ কর্মীসহ ৩৯ জন নিহত হয়েছিলেন। অবশ্য হেফাজত নেতারা তাদের ‘শতশত হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে’ দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ আজ পর্যন্ত উপস্থাপন করতে পারেনি সংগঠনটি।

১১ বছর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংসতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের সাতটি জেলায় হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় ঢাকাসহ ৭টি জেলায় ৫৩টি মামলা দায়ের হয়। ৫৩টি মামলার মধ্যে ৪৯টি মামলা এখনও ঝুলে আছে।

২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব ঘটনায় সারা দেশে ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মিলিয়ে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় ২০৩টি মামলা এখনও চলমান রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার পর হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০৩টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশও এসব মামলার নিষ্পত্তি করতে কাজ শুরু করে দেয়।

গত এক বছরে হেফাজতের শীর্ষ নেতা মাওলানা কামরুদ্দিন, মাওলানা মিজানুর রহমান, মুফতি হারুন ইজাহার, শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ২০ জন শীর্ষ নেতা জামিনে মুক্তি পান। সর্বশেষ শুক্রবার (৩ মে) কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতের শীর্ষ নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে।

হেফাজত সূত্র জানায়, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তাদের ১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্য থেকে বেশিরভাগই এখন জামিনে মুক্ত। মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির দিনে শুক্রবার ব্যাপক শোডাউন করে হেফাজত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা

আপডেট সময় : ১১:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

বিতর্কিত ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করেছিল। একপর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির নামে হেফাজত ও তাদের সহযোগীরা পুরো রাজধানীজুড়েই তাণ্ডব চালায়। ওই দিন মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেফাজতের অবস্থানের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চালায়। পরে তারা মতিঝিল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী ওই ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ২২ কর্মীসহ ৩৯ জন নিহত হয়েছিলেন। অবশ্য হেফাজত নেতারা তাদের ‘শতশত হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে’ দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ আজ পর্যন্ত উপস্থাপন করতে পারেনি সংগঠনটি।

১১ বছর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংসতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের সাতটি জেলায় হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় ঢাকাসহ ৭টি জেলায় ৫৩টি মামলা দায়ের হয়। ৫৩টি মামলার মধ্যে ৪৯টি মামলা এখনও ঝুলে আছে।

২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় হেফাজতের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব ঘটনায় সারা দেশে ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মিলিয়ে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় ২০৩টি মামলা এখনও চলমান রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার পর হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০৩টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশও এসব মামলার নিষ্পত্তি করতে কাজ শুরু করে দেয়।

গত এক বছরে হেফাজতের শীর্ষ নেতা মাওলানা কামরুদ্দিন, মাওলানা মিজানুর রহমান, মুফতি হারুন ইজাহার, শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ২০ জন শীর্ষ নেতা জামিনে মুক্তি পান। সর্বশেষ শুক্রবার (৩ মে) কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতের শীর্ষ নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে।

হেফাজত সূত্র জানায়, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তাদের ১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্য থেকে বেশিরভাগই এখন জামিনে মুক্ত। মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির দিনে শুক্রবার ব্যাপক শোডাউন করে হেফাজত।