ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

বাড়তি খরচ

সারা দেশে হজযাত্রী কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / 61
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হজের খরচ বাড়ায় চট্টগ্রামে গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় দুই হাজার কমেছে হজযাত্রী সংখ্যা। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১০ হাজার জন হজ পালনে গেলেও এবার নিবন্ধন করেছেন প্রায় আট হাজার জন।

এ বছর সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য কোটা দেওয়া হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। কোটার বিপরীতে নিবন্ধন পড়েছে ৮৩ হাজার ২০৯ জনের। সেই হিসাবে সারা দেশে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ এর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৩১৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজ পালন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার হজের মূল খরচ বেড়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও হজে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে চট্টগ্রামের মানুষদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, একই সমস্যার কারণে সারা দেশে অন্যবারের তুলনায় কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা।

হজ এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, শুধু চট্টগ্রামেই গত বছরের তুলনায় চলতি বছর হজে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে যান ৯ হাজার ৭৩০ জন যাত্রী।

এ ছাড়া ঢাকা হয়েও কিছু হজযাত্রী গিয়েছিলেন হজ পালনে। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামের প্রায় ১০ হাজার জন ওই বছর হজ পালন করেন। কিন্তু চলতি বছরে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ৮ হাজার জন। এ ছাড়া গত বছর চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ২৬টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালিত হলেও এ বছর হাজিদের যাতায়াতে রয়েছে মাত্র ২২টি ফ্লাইট।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, হজের ব্যয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হজে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে।

বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাসা ভাড়া, মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত ব্যয়সহ মোয়াল্লেম ফি অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে মূল হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

হাব নেতা বলেন, আগে মোয়াল্লেমের জন্য নির্ধারিত ফি ছিল এক হাজার থেকে ১২ শ রিয়াল, বর্তমানে তা করা হয়েছে ৫ হাজার রিয়াল যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিমান ভাড়া করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সৌদি সরকারের শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ অন্যতম।

তিনি বলেন, হজের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের করার কিছু নেই। তবে বিমান ভাড়া নির্ধারণ বা ভাড়া কম রাখার বিষয়টি সরকার হস্তক্ষেপ করে হজের খরচ কমানোর ব্যবস্থা করতে পারতো। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান আগামীতে অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো হাজিদের ভর্তুকি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বাড়তি খরচ

সারা দেশে হজযাত্রী কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

হজের খরচ বাড়ায় চট্টগ্রামে গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় দুই হাজার কমেছে হজযাত্রী সংখ্যা। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১০ হাজার জন হজ পালনে গেলেও এবার নিবন্ধন করেছেন প্রায় আট হাজার জন।

এ বছর সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য কোটা দেওয়া হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। কোটার বিপরীতে নিবন্ধন পড়েছে ৮৩ হাজার ২০৯ জনের। সেই হিসাবে সারা দেশে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ এর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৩১৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজ পালন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার হজের মূল খরচ বেড়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও হজে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে চট্টগ্রামের মানুষদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, একই সমস্যার কারণে সারা দেশে অন্যবারের তুলনায় কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা।

হজ এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, শুধু চট্টগ্রামেই গত বছরের তুলনায় চলতি বছর হজে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে যান ৯ হাজার ৭৩০ জন যাত্রী।

এ ছাড়া ঢাকা হয়েও কিছু হজযাত্রী গিয়েছিলেন হজ পালনে। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামের প্রায় ১০ হাজার জন ওই বছর হজ পালন করেন। কিন্তু চলতি বছরে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ৮ হাজার জন। এ ছাড়া গত বছর চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ২৬টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালিত হলেও এ বছর হাজিদের যাতায়াতে রয়েছে মাত্র ২২টি ফ্লাইট।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, হজের ব্যয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হজে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে।

বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাসা ভাড়া, মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত ব্যয়সহ মোয়াল্লেম ফি অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে মূল হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

হাব নেতা বলেন, আগে মোয়াল্লেমের জন্য নির্ধারিত ফি ছিল এক হাজার থেকে ১২ শ রিয়াল, বর্তমানে তা করা হয়েছে ৫ হাজার রিয়াল যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিমান ভাড়া করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সৌদি সরকারের শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ অন্যতম।

তিনি বলেন, হজের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের করার কিছু নেই। তবে বিমান ভাড়া নির্ধারণ বা ভাড়া কম রাখার বিষয়টি সরকার হস্তক্ষেপ করে হজের খরচ কমানোর ব্যবস্থা করতে পারতো। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান আগামীতে অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো হাজিদের ভর্তুকি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।