ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একমাস পর কাটল তাপপ্রবাহ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / 223
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রকৃতি যেন অবশেষে সদর হলো। দেশের ওপর দিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক মাস (৩৭ দিন) পর এসে থার্মোমিটারের পারদ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নেমে এলো। গত ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ।

এ সময়ে কখনো তীব্র, কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত ৩০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৩.৮ ডিগ্রিতে। আগের দিন ঢাকার তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করে। তবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি মে মাসের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। ফলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। সোমবার রাতে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে রেকর্ড করা হয় ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। ঢাকাতেও ৩০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।

বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সোমবার (৬ মে) গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে দীর্ঘসময় পর মঙ্গলবার (৭ মে) এই তিন অঞ্চলের তাপপ্রবাহও কেটে যায়। অঞ্চলগুলোতে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত। ওইদিন দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ‍ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খেপুপাড়ায়।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে।

এদিকে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালি, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একমাস পর কাটল তাপপ্রবাহ

আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

প্রকৃতি যেন অবশেষে সদর হলো। দেশের ওপর দিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক মাস (৩৭ দিন) পর এসে থার্মোমিটারের পারদ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নেমে এলো। গত ৩১ মার্চ দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল। প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও এপ্রিলের শেষার্ধে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হতে থাকে। পরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় কমতে থাকে তাপমাত্রা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (০৭ মে) এসে পুরো দেশে থেকেই বিদায় নিল তাপপ্রবাহ।

এ সময়ে কখনো তীব্র, কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত ৩০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৩.৮ ডিগ্রিতে। আগের দিন ঢাকার তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করে। তবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি মে মাসের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। ফলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। সোমবার রাতে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে রেকর্ড করা হয় ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। ঢাকাতেও ৩০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড।

বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সোমবার (৬ মে) গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে দীর্ঘসময় পর মঙ্গলবার (৭ মে) এই তিন অঞ্চলের তাপপ্রবাহও কেটে যায়। অঞ্চলগুলোতে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত। ওইদিন দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ‍ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খেপুপাড়ায়।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে।

এদিকে বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালি, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।