ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ইলিশের মণ লাখ টাকা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / 73
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর অন্যতম একটি স্থান হরিণা ফেরিঘাট। সেখানে রয়েছে একটি মৎস্য আড়ত। মেঘনা নদীতে জেলেদের আহরিত ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসা হয় এই আড়তে। তবে এখন সেই আড়তে ইলিশসহ অন্যসব মাছের দাম খুবই চড়া।

বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা দরে। নদীতে ইলিশ কম এবং আমদানি না থাকায় বাজার দরের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে আড়তে আনা ইলিশের এমন দরদাম জানা গেলো। তবে এই ঘাটে সাধারণ ক্রেতার চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তারা ঘাটের আড়ৎ থেকে তাজা ইলিশ কিনে শহরে এনে বিক্রি করেন।

এই মাছঘাটে দুটি সময় জেলেরা ইলিশ নিয়ে আড়তে আসেন। রাতে যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন ভোরে এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও দিন জুড়েই আড়তগুলোতে কম-বেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়।

তাজুল সৈয়ালের আড়তে এক জেলে নিয়ে এলেন বড় সাইজের ৩টি এবং ছোট সাইজের ৩টি ইলিশ। চাঁদপুর শহর থেকে আসা একজন খুচরা ব্যবসায়ী ছোট ৩টি ইলিশ (জাটকা সাইজ) ক্রয় করলেন ৮০০ টাকায়। আর মধ্যম সাইজের ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩টি ক্রয় করলেন ৩ হাজার টাকায়।

পাশের আড়তে সকাল থেকে জমিয়ে রাখা ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২ হাজার ৫০০ টাকায়। একজন ক্রেতা ৪টি ইলিশ ক্রয় করলেন ৯ হাজার ৪০০ টাকায়।

বিল্লাল হোসেন নামের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আজ ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজেরগুলো কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন এই আড়তে ১০ থেকে ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি হয়।

হরিণা ঘাট আড়তের মৎস্য ব্যবসায়ী লতিফ শেখ বলেন, বর্তমানে মাছের খরা যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে খুব কম মাছ পাচ্ছেন, যার কারণে দাম বেশি। এক জেলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রামের একটি চিংড়ি ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। এবার এই চিংড়ি কত দিয়ে বিক্রি করতে পারবো কে জানে। আগে ইলিশ প্রচুর আসতো কিন্তু এখন আসে না। মানুষ দাম বেশি দেখে ফিরে যায়।

আড়তের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ খুবই কম। আমদানি কম হলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যায় না। যে কারণে দাম এখন খুবই চড়া। বছরের সবচাইতে বেশি দামে এখন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই আড়তের ইলিশ তাজা। বরফ ছাড়াও ক্রেতাদের নেওয়ার সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন। পানি আরও বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি বাড়বে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ইলিশের মণ লাখ টাকা!

আপডেট সময় : ১০:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

 

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর অন্যতম একটি স্থান হরিণা ফেরিঘাট। সেখানে রয়েছে একটি মৎস্য আড়ত। মেঘনা নদীতে জেলেদের আহরিত ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসা হয় এই আড়তে। তবে এখন সেই আড়তে ইলিশসহ অন্যসব মাছের দাম খুবই চড়া।

বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা দরে। নদীতে ইলিশ কম এবং আমদানি না থাকায় বাজার দরের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে আড়তে আনা ইলিশের এমন দরদাম জানা গেলো। তবে এই ঘাটে সাধারণ ক্রেতার চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তারা ঘাটের আড়ৎ থেকে তাজা ইলিশ কিনে শহরে এনে বিক্রি করেন।

এই মাছঘাটে দুটি সময় জেলেরা ইলিশ নিয়ে আড়তে আসেন। রাতে যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন ভোরে এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও দিন জুড়েই আড়তগুলোতে কম-বেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়।

তাজুল সৈয়ালের আড়তে এক জেলে নিয়ে এলেন বড় সাইজের ৩টি এবং ছোট সাইজের ৩টি ইলিশ। চাঁদপুর শহর থেকে আসা একজন খুচরা ব্যবসায়ী ছোট ৩টি ইলিশ (জাটকা সাইজ) ক্রয় করলেন ৮০০ টাকায়। আর মধ্যম সাইজের ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩টি ক্রয় করলেন ৩ হাজার টাকায়।

পাশের আড়তে সকাল থেকে জমিয়ে রাখা ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২ হাজার ৫০০ টাকায়। একজন ক্রেতা ৪টি ইলিশ ক্রয় করলেন ৯ হাজার ৪০০ টাকায়।

বিল্লাল হোসেন নামের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আজ ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজেরগুলো কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন এই আড়তে ১০ থেকে ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি হয়।

হরিণা ঘাট আড়তের মৎস্য ব্যবসায়ী লতিফ শেখ বলেন, বর্তমানে মাছের খরা যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে খুব কম মাছ পাচ্ছেন, যার কারণে দাম বেশি। এক জেলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রামের একটি চিংড়ি ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। এবার এই চিংড়ি কত দিয়ে বিক্রি করতে পারবো কে জানে। আগে ইলিশ প্রচুর আসতো কিন্তু এখন আসে না। মানুষ দাম বেশি দেখে ফিরে যায়।

আড়তের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ খুবই কম। আমদানি কম হলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যায় না। যে কারণে দাম এখন খুবই চড়া। বছরের সবচাইতে বেশি দামে এখন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই আড়তের ইলিশ তাজা। বরফ ছাড়াও ক্রেতাদের নেওয়ার সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন। পানি আরও বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি বাড়বে।