ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

যাত্রাবিরতির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে রেললাইনে শুয়ে পড়লেন আন্দোলনকারীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / 66
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তারা রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের গতিরোধ করে বিক্ষোভ ও কাফনের কাপড় শরীরে জরিয়ে রেল লাইনে শুয়ে পড়ে।

শনিবার (১১ মে) ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে ট্রেন অবরোধ করেন।

পরে পাকশীর ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে এ দাবিতে সমবেত হন স্থানীয়রা। ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে ট্রেনটি ফরিদপুর অতিক্রম করার আগে তারা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এ সময় চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন সিনিয়র সিটিজেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আবরার নাদিম ইতু, শরীফ খান, রুমন চৌধুরী, পারভেজ, তুহিন বিন আলমগীর প্রমুখ।

বক্তাগণ ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবি করে বলেন, গত ৫ মে একই দাবিতে মানববন্ধনের পর আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সম্বলিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে ই-মেইলে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। এ কারণে আজ আবার আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই। তারা জানিয়ে দিক ফরিদপুরকে তারা উপেক্ষা করেছে, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুর জেলা না, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুর একটি অশিক্ষিত শহর, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুরে এই ট্রেন থামালে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরা মেনে নেবো। কিন্তু তা যদি না হয় তাহলে আমাদের এখানে এই ট্রেন থামার সুযোগ করে দিতে হবে।

এ সময় আন্দোলনকারী আবরার নাদিম ইতু জানান, বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা তাদেরকে এ ব্যাপারে একটি লিখিত আবেদন পাঠাতে বলেছেন। এর আগেও তারা একবার তাদের দাবি সম্বলিত একটি আবেদন ইমেইলে পাকশী বিভাগীয় দপ্তরে পাঠিয়েছেন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয় তাহলে তারা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে যাবেন।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আন্দোলনকারীরা রেলপথ থেকে সরে দাঁড়ালে ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

যাত্রাবিরতির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে রেললাইনে শুয়ে পড়লেন আন্দোলনকারীরা

আপডেট সময় : ১০:০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

 

রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তারা রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের গতিরোধ করে বিক্ষোভ ও কাফনের কাপড় শরীরে জরিয়ে রেল লাইনে শুয়ে পড়ে।

শনিবার (১১ মে) ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে ট্রেন অবরোধ করেন।

পরে পাকশীর ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে এ দাবিতে সমবেত হন স্থানীয়রা। ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে ট্রেনটি ফরিদপুর অতিক্রম করার আগে তারা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এ সময় চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন সিনিয়র সিটিজেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আবরার নাদিম ইতু, শরীফ খান, রুমন চৌধুরী, পারভেজ, তুহিন বিন আলমগীর প্রমুখ।

বক্তাগণ ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবি করে বলেন, গত ৫ মে একই দাবিতে মানববন্ধনের পর আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সম্বলিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে ই-মেইলে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। এ কারণে আজ আবার আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই। তারা জানিয়ে দিক ফরিদপুরকে তারা উপেক্ষা করেছে, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুর জেলা না, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুর একটি অশিক্ষিত শহর, আমরা মেনে নেবো। ফরিদপুরে এই ট্রেন থামালে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরা মেনে নেবো। কিন্তু তা যদি না হয় তাহলে আমাদের এখানে এই ট্রেন থামার সুযোগ করে দিতে হবে।

এ সময় আন্দোলনকারী আবরার নাদিম ইতু জানান, বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা তাদেরকে এ ব্যাপারে একটি লিখিত আবেদন পাঠাতে বলেছেন। এর আগেও তারা একবার তাদের দাবি সম্বলিত একটি আবেদন ইমেইলে পাকশী বিভাগীয় দপ্তরে পাঠিয়েছেন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয় তাহলে তারা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে যাবেন।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আন্দোলনকারীরা রেলপথ থেকে সরে দাঁড়ালে ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়