যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচু
- আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
- / 87
নানা জাতের সবজি ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানির পর এবার সীতাকুণ্ডের লিচু যাচ্ছে ইউরোপের ইউকে ও এশিয়ার মালদ্বীপে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলা থেকে বোম্বাই জাতের তিন হাজার লিচু পাঠানোর মধ্য দিয়ে এই রপ্তানি শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে উপজেলার কৃষি আরো সমৃদ্ধ হলো বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের পাহাড় ও সমতল ভূমিতে নানা রকম লিচুর ফলন হয়।
এ লিচু এতকাল স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হতো। কিন্তু এবারই প্রথম ঢাকার এক পাইকার পরীক্ষামূলকভাবে সীতাকুণ্ড থেকে লিচু সংগ্রহ করে তা পরীক্ষামূলকভাবে পাঠিয়েছেন ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য ও এশিয়ার মালদ্বীপে।
এ বিষয়ে কথা বলেন সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ইদিলপুর গ্রামের লিচু উৎপাদনকারী প্রবীণ কৃষক মো. আবুল মনছুরের ছেলে মাহমুদ হাসান শিশির। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড পাহাড়ে এক হাজার লিচুগাছের একটি বাগান আছে তাঁদের।
এই বাগানে প্রচুর বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই লিচু নেওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা লিচু বিদেশে পাঠাতে চায়। তিনি বলেন, ‘তাদের প্রস্তাব শুনে আমরাও রাজি হওয়ার পর শ্যামবাজারের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস কে ইন্টারন্যাশনাল তিন হাজার পিস লিচু পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে গেছে।
সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় রঙের এই লিচু তারা যুক্তরাজ্য ও মালদ্বীপে পাঠিয়েছে। গুণগত মান ভালো হলে এখান থেকে আরো লিচু নিয়ে যাবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শ্যামবাজারের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস কে ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী এ এস খান বলেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে এবারই প্রথম পাহাড়ি বোম্বাই জাতের লিচু সংগ্রহ করে আকাশপথে যুক্তরাজ্য ও এশিয়ার মালদ্বীপে পাঠিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই লিচু স্বাদে ও আকারে ভালো। তবু পরীক্ষামূলক তিন হাজার পিস লিচু পাঠিয়েছি।’
এই লিচু সেখানে পছন্দ করলে আরো বেশি লিচু কিনে নিয়ে যাবে এই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। সীতাকুণ্ড কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সীতাকুণ্ড পাহাড় ও সমতলভূমি মিলে ২৭ হেক্টর জায়গায় শতাধিক কৃষক সুমিষ্ট বোম্বাই ও চায়না থ্রি জাতের লিচুর আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের এই লিচু চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এখান থেকে লিচু পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশের মাটিতে যাচ্ছে, এটা আমাদের কৃষির সফলতা। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে, অন্যদিকে কৃষকরাও আর্থিকভাবে সচ্ছল হবেন।’
নিউজটি শেয়ার করুন