ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উপকূল, ঢাকায় বৃষ্টি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বর্তমানে মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খেপুগাড়া উপকূল অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড়টি কিছুক্ষণের মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রেমালের প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানির সংখ্যা এখনো না জানা গেলেও গত রাত ৯টা পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

জানা গেছে, মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।

গতকাল রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গত রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করছে। অতিক্রমের এই সময়ে উপকূলজুড়ে ঝড়ো হাওয়া ও অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তৃতির কারণে সোমবার উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোনো কোনো জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকায় বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়া
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ সে) ভোর থেকে এ অবস্থা শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝড়ো বাতাস ও বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৭টায় রাজধানীর উত্তরায় দেখা যায়, এখানে থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।

বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা ও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা। ভোর থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন অনেকে। অস্বস্তিতে রয়েছেন রিকশাচালকরা। অফিসগামীরাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোট পরিধান করে বের হয়েছেন। অন্যদিকে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যাও কম।

অনেককে ভিজে ভিজে অফিসে যেতে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে বেগ পেতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীদের।

আবহাওয়া অফিস যা জানালো
সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উপকূল, ঢাকায় বৃষ্টি

আপডেট সময় : ১১:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বর্তমানে মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খেপুগাড়া উপকূল অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড়টি কিছুক্ষণের মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রেমালের প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানির সংখ্যা এখনো না জানা গেলেও গত রাত ৯টা পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

জানা গেছে, মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।

গতকাল রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গত রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করছে। অতিক্রমের এই সময়ে উপকূলজুড়ে ঝড়ো হাওয়া ও অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তৃতির কারণে সোমবার উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোনো কোনো জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকায় বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়া
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ সে) ভোর থেকে এ অবস্থা শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝড়ো বাতাস ও বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৭টায় রাজধানীর উত্তরায় দেখা যায়, এখানে থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।

বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা ও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা। ভোর থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন অনেকে। অস্বস্তিতে রয়েছেন রিকশাচালকরা। অফিসগামীরাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোট পরিধান করে বের হয়েছেন। অন্যদিকে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যাও কম।

অনেককে ভিজে ভিজে অফিসে যেতে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে বেগ পেতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীদের।

আবহাওয়া অফিস যা জানালো
সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।