ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

উষ্ণতা থেকে বাঁচতে গাছ লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 65

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সবাইকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা যদি গাছ লাগান, গরমে ছায়ায় আরাম পাবেন। ফল গাছ হলে তো খেতেও পারবেন। নিজের গাছের ফলের তৃপ্তিই আলাদা। আমরা সবাই মিলে গাছ লাগিয়ে নিজেদের পরিবেশটা সুরক্ষায় মনোযোগ দেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশকে ও দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা ও প্রকৃতিকে রক্ষা করা।

বুধবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিমালের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এত দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাস হয়নি। এবারই প্রথম হয়েছে। ৮ লাখ মানুষকে আমরা শেল্টারে আনতে পেরেছি। এত চাপেও আমাদের উপকূলে দেওয়া উপহারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য করে দেওয়া ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

বিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ মরুময়তার ঝুঁকিতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মরুময়তা ও খরা প্রতিরোধে নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি, এটায় সফলতা পেয়েছি। খরা সহিষ্ণু এবং জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের জাত নিয়েও গবেষণা করছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। আশা করি, এটিতেও সফলতা আসবে। অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইট আমাদের উৎপাদন করতে হবে, তবে সেটা যাতে পরিবেশবান্ধব হয়। বিকল্প ব্যবস্থায়ও জোর দিচ্ছি। প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে এখনো। তবে সুখবর হলো, পাটের থেকে এমন কিছু পণ্য তৈরি করা যায়, যা মাটির সঙ্গে মিশেও যায়। এটার জন্য আমরা নানান ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, সামাজিক বনায়নে মাত্র ৩০ ভাগ লভ্যাংশ পেতো, এখন এটা ৭০ ভাগ করে দিয়েছি। যার কারণে সবাই সামাজিক বনায়ন আন্তরিকতার সঙ্গে করে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২টি এলাকা সংরক্ষণ করেছি। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে মুজিব অ্যাকশন প্ল্যান করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি আইন, নীতি, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণনয়ন করি। আমাদের ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি পরিবেশ রক্ষা করা। বৃক্ষরোপণ, বন সংরক্ষণ ও বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ২৫ ভাগ বনায়ন করতে পেরেছি। এরই মধ্যে ছাদ বাগান করার উপরও জোর দিয়েছি। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজের খাদ্য যোগানও দেওয়া যায়। এবছর ৮ কোটি ৩৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে।

তিনি বলেন, পিতার হত্যাকাণ্ডের পর আমার অবর্তমানে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালে আমি দেশে ফিরি। ফিরে আসি এজন্যই যে, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। বাবার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশ নেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

উষ্ণতা থেকে বাঁচতে গাছ লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১২:২০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

 

সবাইকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা যদি গাছ লাগান, গরমে ছায়ায় আরাম পাবেন। ফল গাছ হলে তো খেতেও পারবেন। নিজের গাছের ফলের তৃপ্তিই আলাদা। আমরা সবাই মিলে গাছ লাগিয়ে নিজেদের পরিবেশটা সুরক্ষায় মনোযোগ দেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশকে ও দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা ও প্রকৃতিকে রক্ষা করা।

বুধবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিমালের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এত দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাস হয়নি। এবারই প্রথম হয়েছে। ৮ লাখ মানুষকে আমরা শেল্টারে আনতে পেরেছি। এত চাপেও আমাদের উপকূলে দেওয়া উপহারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য করে দেওয়া ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

বিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ মরুময়তার ঝুঁকিতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মরুময়তা ও খরা প্রতিরোধে নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি, এটায় সফলতা পেয়েছি। খরা সহিষ্ণু এবং জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের জাত নিয়েও গবেষণা করছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। আশা করি, এটিতেও সফলতা আসবে। অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইট আমাদের উৎপাদন করতে হবে, তবে সেটা যাতে পরিবেশবান্ধব হয়। বিকল্প ব্যবস্থায়ও জোর দিচ্ছি। প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে এখনো। তবে সুখবর হলো, পাটের থেকে এমন কিছু পণ্য তৈরি করা যায়, যা মাটির সঙ্গে মিশেও যায়। এটার জন্য আমরা নানান ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, সামাজিক বনায়নে মাত্র ৩০ ভাগ লভ্যাংশ পেতো, এখন এটা ৭০ ভাগ করে দিয়েছি। যার কারণে সবাই সামাজিক বনায়ন আন্তরিকতার সঙ্গে করে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২টি এলাকা সংরক্ষণ করেছি। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে মুজিব অ্যাকশন প্ল্যান করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি আইন, নীতি, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণনয়ন করি। আমাদের ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি পরিবেশ রক্ষা করা। বৃক্ষরোপণ, বন সংরক্ষণ ও বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ২৫ ভাগ বনায়ন করতে পেরেছি। এরই মধ্যে ছাদ বাগান করার উপরও জোর দিয়েছি। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজের খাদ্য যোগানও দেওয়া যায়। এবছর ৮ কোটি ৩৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে।

তিনি বলেন, পিতার হত্যাকাণ্ডের পর আমার অবর্তমানে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালে আমি দেশে ফিরি। ফিরে আসি এজন্যই যে, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। বাবার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশ নেন।