কেএনএফের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন চলছে : সেনাপ্রধান
- আপডেট সময় : ০২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
- / 139
বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে হেলিকপ্টারে তিনি বান্দরবান এসে পৌছান। পরে তিনি বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় শেষে প্রেসব্রিফিংএ সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে, ইতিমধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।’
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ সদস্যদেরর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটালো।’
জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়ে উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটিতো জানা মুশকিল। তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা এবং থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। তাণ্ডবের ঘটনায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারমধ্যে রুমায় চারটি এবং থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলার আসামি অজ্ঞাত। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, ‘রুমার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ও আনসার এবং থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা, বাকী দুটি মামলায় পুলিশ বাদী। তবে এখনো পর্যন্ত এসব মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তবে রুমা ও থানচির কোথাও নতুন করে কেএনএফের গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। হামলাকারী ও লুটেরাদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তারা।
নিউজটি শেয়ার করুন