ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

বেড়েছে সবধরনের মসলার দাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / 72
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কোরবানি ঈদের আর মাত্র তিন দিন। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন ) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারের মসলার পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দারুচিনি, জিরা, এলাচি, লবঙ্গ, তেজপাতা, মরিচ ও হলুদের গুঁড়াসহ সব ধরনের মসলা। পর্যাপ্ত জোগান থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ মসলা আমদানি করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারক থেকে শুরু করে কয়েক হাত বদলের পরে খুচরা বাজারে আসায় মসলার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাভেদে প্রতি কেজিতে ১৫০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

নিউ মার্কেটে এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি জিরা ৬৬০-৬৮০ টাকা করে বিক্রি হলেও বর্তমানে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। একইভাবে প্রতি কেজি কালো এলাচ ২ হাজার ৪৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, সাদা এলাচ ৩ হাজার ৫০ থেকে ২৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৩ হাজার ২৮০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৪২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৮০ টাকা এবং গোল মরিচ ৭৬০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া, প্রতি কেজি আদা ২০০ থেকে বেড়ে ২৭০ টাকায়, প্রতি কেজি রসুন ২৪০ থেকে বেড়ে থেকে ২৭০ টাকা এবং শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকায় এবং গুঁড়া হলুদ প্রতি কেজি ২০০ থেকে বেড়ে টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতা সরোয়ার হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের আগে সব ধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। তাই ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, তত দাম বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবার মসলার বাজার অনেকটা চড়া। আগামী দু’দিন দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

নজরুল ইসলাম নামের আরেক মসলা বিক্রেতা বলেন, আমরা সকল ধরনের মসলা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করছি। ঈদ উপলক্ষে কিছু দিন আগেই পর্যাপ্ত মসলা কিনে রেখেছি। গত বছরের তুলনায় এবার সব মসলার দাম বেশি। আমাদেরও বেশি দামে মসলা কিনতে হচ্ছে, তাই ঈদের বাজার শুরু না হলেও পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই মসলার দাম একটু বেড়েছে।

এদিকে, মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। মনোয়ারা নামের এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মসলার দাম অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ দাম বেশির কারণে তেমন মসলা কিনতে পারছে না। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও ঠিক তাই হয়েছে। এসব দেখার কেউ নেই।

কারওয়ান বাজারে মসলা কিনতে আসা এক গণমাধ্যমকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম কারণে-অকারণে বাড়ে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা এসবের দাম অনেকদিন থেকেই বাড়তি। আজ দেখছি, ব্যবসায়ীরা হলুদ, মরিচ, জিরা, এলাচ এসবের দামও বেশি চাচ্ছে। কোরবানি দেবো বলে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। সত্যি বলতে কী, বাজারে নজরদারি এবং ব্যবসায়ীদের কোনও জবাবদিহিতা নেই বলেই এমন অরাজক অবস্থা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বেড়েছে সবধরনের মসলার দাম

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

 

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কোরবানি ঈদের আর মাত্র তিন দিন। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন ) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারের মসলার পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দারুচিনি, জিরা, এলাচি, লবঙ্গ, তেজপাতা, মরিচ ও হলুদের গুঁড়াসহ সব ধরনের মসলা। পর্যাপ্ত জোগান থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ মসলা আমদানি করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারক থেকে শুরু করে কয়েক হাত বদলের পরে খুচরা বাজারে আসায় মসলার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাভেদে প্রতি কেজিতে ১৫০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

নিউ মার্কেটে এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি জিরা ৬৬০-৬৮০ টাকা করে বিক্রি হলেও বর্তমানে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। একইভাবে প্রতি কেজি কালো এলাচ ২ হাজার ৪৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, সাদা এলাচ ৩ হাজার ৫০ থেকে ২৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৩ হাজার ২৮০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৪২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৮০ টাকা এবং গোল মরিচ ৭৬০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া, প্রতি কেজি আদা ২০০ থেকে বেড়ে ২৭০ টাকায়, প্রতি কেজি রসুন ২৪০ থেকে বেড়ে থেকে ২৭০ টাকা এবং শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকায় এবং গুঁড়া হলুদ প্রতি কেজি ২০০ থেকে বেড়ে টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতা সরোয়ার হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের আগে সব ধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। তাই ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, তত দাম বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবার মসলার বাজার অনেকটা চড়া। আগামী দু’দিন দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

নজরুল ইসলাম নামের আরেক মসলা বিক্রেতা বলেন, আমরা সকল ধরনের মসলা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করছি। ঈদ উপলক্ষে কিছু দিন আগেই পর্যাপ্ত মসলা কিনে রেখেছি। গত বছরের তুলনায় এবার সব মসলার দাম বেশি। আমাদেরও বেশি দামে মসলা কিনতে হচ্ছে, তাই ঈদের বাজার শুরু না হলেও পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই মসলার দাম একটু বেড়েছে।

এদিকে, মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। মনোয়ারা নামের এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মসলার দাম অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ দাম বেশির কারণে তেমন মসলা কিনতে পারছে না। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও ঠিক তাই হয়েছে। এসব দেখার কেউ নেই।

কারওয়ান বাজারে মসলা কিনতে আসা এক গণমাধ্যমকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম কারণে-অকারণে বাড়ে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা এসবের দাম অনেকদিন থেকেই বাড়তি। আজ দেখছি, ব্যবসায়ীরা হলুদ, মরিচ, জিরা, এলাচ এসবের দামও বেশি চাচ্ছে। কোরবানি দেবো বলে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। সত্যি বলতে কী, বাজারে নজরদারি এবং ব্যবসায়ীদের কোনও জবাবদিহিতা নেই বলেই এমন অরাজক অবস্থা।