ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 69
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ গণমিছিল করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা, আফতাবনগর, সায়েন্সল্যাব, প্রেস ক্লাব ও বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

বেলা সাড়ে ১১টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

গণমিছিলটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজ ঘুরে ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে যায়। পরে গণমিছিলটি ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আবারও রামপুরা ব্রিজ হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পুলিশের ২৫-৩০ জনের একটি দলকে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলের সঙ্গে সঙ্গে চলতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গণমিছিলের সামনে ও পেছনে অবস্থান নিয়ে চলতে থাকে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এসেছেন। যেন কোনো দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়, তারা কোনো ধরনের পুলিশি নিরাপত্তা চান না। শিক্ষার্থীরা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেন এখানে এসেছেন? আপনারা এখান থেকে চলে যান।

দুপুরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণমিছিলে অংশ নেন।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা দ্রুত নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পরে তারা প্রেস ক্লাবের অবস্থান ছেড়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে শাহবাগের দিকে চলে যান।

অন্যদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে গণমিছিল শুরু করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যেতে থাকে। পরে শাহবাগ পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক।

দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এরই অংশ হিসেবে আজ সারাদেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পরে দোয়া-কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা এবং জুমার নামাজের শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ গণমিছিল করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা, আফতাবনগর, সায়েন্সল্যাব, প্রেস ক্লাব ও বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

বেলা সাড়ে ১১টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

গণমিছিলটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজ ঘুরে ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে যায়। পরে গণমিছিলটি ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আবারও রামপুরা ব্রিজ হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পুলিশের ২৫-৩০ জনের একটি দলকে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলের সঙ্গে সঙ্গে চলতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গণমিছিলের সামনে ও পেছনে অবস্থান নিয়ে চলতে থাকে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এসেছেন। যেন কোনো দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়, তারা কোনো ধরনের পুলিশি নিরাপত্তা চান না। শিক্ষার্থীরা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেন এখানে এসেছেন? আপনারা এখান থেকে চলে যান।

দুপুরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণমিছিলে অংশ নেন।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা দ্রুত নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পরে তারা প্রেস ক্লাবের অবস্থান ছেড়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে শাহবাগের দিকে চলে যান।

অন্যদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে গণমিছিল শুরু করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যেতে থাকে। পরে শাহবাগ পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক।

দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এরই অংশ হিসেবে আজ সারাদেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পরে দোয়া-কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা এবং জুমার নামাজের শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল করা হয়।