ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 58
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এস আলম গ্রুপের মালিকানা থাকা ৬টিসহ মোট ৯টি ব্যাংকের চেক, পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির সচিব ওমর ফারুক।

ব্যাংকগুলো হলো, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ৯টি ব্যাংকের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। এসব ব্যাংক থেকে পূর্বের মেয়াদি আমানতসহ বিভিন্ন আমানত উত্তোলন করতে পারছে না বন্দর। ফলে এসব ব্যাংকে নতুন করে সব ধরনের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ৯ ব্যাংকের গ্রাহকরা গত দুই সপ্তাহ ধরে অনলাইনে শুল্ক কর পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সেই সঙ্গে এসব ব্যাংকের পে অর্ডারও ফিরিয়ে দেয় অনেক শিপিং এজেন্ট। এমনকি অন্য ব্যাংকে ফান্ড (তহবিল) স্থানান্তর করতেও অসুবিধায় পড়েন আমদানিকারকরা। তাই বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার অধিকার সকল আমানতকারীর রয়েছে। ব্যাংকে বিনিয়োগ করার বিপরীতে ইন্টারেস্ট না পাওয়ায় বন্দর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্ট পাওয়া যাচ্ছে না, সেই ব্যাংকগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের কোনো রেসপন্সও পাইনি, যা ব্যাংকিংসুলভ আচরণ পরিপন্থি।

তিনি বলেন, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোতে আমানত রাখতে নিরাপদ বোধ না করায় আমরা টাকা তুলে নিতে চাচ্ছি। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করতে বাধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও যোগাযোগ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেই বন্দর চেয়ারম্যানের পরামর্শে ৯টি ব্যাংকের সঙ্গে ইস্যু করা সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সীমিত এবং এসব ব্যাংক থেকে ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

এস আলম গ্রুপের মালিকানা থাকা ৬টিসহ মোট ৯টি ব্যাংকের চেক, পে অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির সচিব ওমর ফারুক।

ব্যাংকগুলো হলো, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ৯টি ব্যাংকের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। এসব ব্যাংক থেকে পূর্বের মেয়াদি আমানতসহ বিভিন্ন আমানত উত্তোলন করতে পারছে না বন্দর। ফলে এসব ব্যাংকে নতুন করে সব ধরনের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ৯ ব্যাংকের গ্রাহকরা গত দুই সপ্তাহ ধরে অনলাইনে শুল্ক কর পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সেই সঙ্গে এসব ব্যাংকের পে অর্ডারও ফিরিয়ে দেয় অনেক শিপিং এজেন্ট। এমনকি অন্য ব্যাংকে ফান্ড (তহবিল) স্থানান্তর করতেও অসুবিধায় পড়েন আমদানিকারকরা। তাই বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার অধিকার সকল আমানতকারীর রয়েছে। ব্যাংকে বিনিয়োগ করার বিপরীতে ইন্টারেস্ট না পাওয়ায় বন্দর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্ট পাওয়া যাচ্ছে না, সেই ব্যাংকগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের কোনো রেসপন্সও পাইনি, যা ব্যাংকিংসুলভ আচরণ পরিপন্থি।

তিনি বলেন, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোতে আমানত রাখতে নিরাপদ বোধ না করায় আমরা টাকা তুলে নিতে চাচ্ছি। কিন্তু তাও সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করতে বাধার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও যোগাযোগ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেই বন্দর চেয়ারম্যানের পরামর্শে ৯টি ব্যাংকের সঙ্গে ইস্যু করা সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সীমিত এবং এসব ব্যাংক থেকে ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।