ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

নিয়মিত পাচার হচ্ছে ভোজ্য ও জ্বালানি তেল, চাল-বিস্কুটসহ খাদ্যসামগ্রী

মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি, আরও ১৭ সেনাসদস্য বাংলাদেশে

ডেইলী আর্থ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / 65
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্টের ওপারে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মিয়ানমারের আরও ১৭ জন সেনাসদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৫ দিন সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির পর ঘুমধুম, তুমব্রু ও ঢেকুবুনিয়া সীমান্তের ওপারে বিজিপির ক্যাম্পগুলো দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি। দখল হওয়া ক্যাম্পগুলো উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। তবুও পিছু হটেনি আরকান আর্মি।

আর এসব ঘটনায় রকেট লঞ্চার ও মর্টারশেলের আঘাতে ২ বাংলাদেশি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তুমুল লড়াইয়ের পর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৩৩০ জন সদস্য। যাদেরকে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মিয়ানমারের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাপক হারে। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট ও পিলার এলাকা ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় প্রথম দফায় জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪৫ নম্বর সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে আসেন। সেখানে ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপি জোয়ানদের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন। একই পয়েন্ট থেকে বেলা আড়াইটায় আসেন আরও পাঁচজন। এ ছাড়া সকাল ১০টায় ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে মিয়ানমারের ২ সেনাসদস্য আশ্রয় নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।

নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে থেকে ১৮০ জান্তা সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। নতুন করে আর ৩৩ জন যোগ হওয়ায় এখন ২১৩ জন আশ্রয় নিল। এদের মধ্যে অসুস্থ তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে ভেতরে সংঘাতের কারণে দেশটির সেনা সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। যারা পালিয়ে আসছেন, তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হচ্ছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে তারা আশ্রয় নিয়েছেন।

বর্তমানে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সীমান্ত পয়েন্টে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

নিয়মিত পাচার হচ্ছে ভোজ্য ও জ্বালানি তেল, চাল-বিস্কুটসহ খাদ্যসামগ্রী

মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি, আরও ১৭ সেনাসদস্য বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ১১:২৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু পয়েন্টের ওপারে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মিয়ানমারের আরও ১৭ জন সেনাসদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৫ দিন সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির পর ঘুমধুম, তুমব্রু ও ঢেকুবুনিয়া সীমান্তের ওপারে বিজিপির ক্যাম্পগুলো দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি। দখল হওয়া ক্যাম্পগুলো উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। তবুও পিছু হটেনি আরকান আর্মি।

আর এসব ঘটনায় রকেট লঞ্চার ও মর্টারশেলের আঘাতে ২ বাংলাদেশি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তুমুল লড়াইয়ের পর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর ৩৩০ জন সদস্য। যাদেরকে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মিয়ানমারের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাপক হারে। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট ও পিলার এলাকা ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় প্রথম দফায় জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪৫ নম্বর সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে আসেন। সেখানে ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপি জোয়ানদের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন। একই পয়েন্ট থেকে বেলা আড়াইটায় আসেন আরও পাঁচজন। এ ছাড়া সকাল ১০টায় ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে মিয়ানমারের ২ সেনাসদস্য আশ্রয় নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।

নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে থেকে ১৮০ জান্তা সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। নতুন করে আর ৩৩ জন যোগ হওয়ায় এখন ২১৩ জন আশ্রয় নিল। এদের মধ্যে অসুস্থ তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে ভেতরে সংঘাতের কারণে দেশটির সেনা সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। যারা পালিয়ে আসছেন, তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হচ্ছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে তারা আশ্রয় নিয়েছেন।

বর্তমানে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সীমান্ত পয়েন্টে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন।