ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসায় জেলা শিক্ষা অফিসারের ঝটিকা পরিদর্শন তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / 130
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

লিমন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারপাখিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার পদসহ অন্যান্য পদে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরিপেক্ষিতে ঝটিকা পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার(৩০ আগষ্ট)বেলা ১২টার দিকে তিনি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এ সময়ে তিনি মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেনীকক্ষ,পাঠদান ও অবকাঠামোগত দিক ঘুরফিরে দেখেন। পরবর্তিতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতি ও শিক্ষকমন্ডলীর সাথে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রচন্ড গরমে শ্রেনীকক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ফ্যান ও প্রতিষ্ঠানের দরজার ব্যবস্থা করেন। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান,দূর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাগজপত্র তলব করেছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
উল্লেখ্য,প্রতিষ্ঠানে বর্তমান সুপার মাদ্রাসার সহসুপার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে ২০১৯ সালে নিয়োগ দেন এবং তার নিয়োগপত্র ব্যাকডেটে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে দেখান। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সহসুপার পদে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে। জানা যায়, তিনি অত্র প্রতিষ্টানে প্রায় আড়াই বছর চাকরী করে ২০১৭ সালের শেষে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এক বছর পর ২০১৯ সালে এসে অত্যান্ত চাতুরতার সাথে সহ-সুপার পদে হাফিজুর রহমানসহ গোলাম মর্তুজা,নাসির উদ্দীন ও শামিম হোসেনকে সহকারী শিক্ষক পদে নগদ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন মাদ্রাসা সুপার আবুল কালাম। ঐ সময় নিয়োগ বোর্ড ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে হয়ে থাকলেও সেখানে লিখিত কিংবা ভাইভা কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেননি বর্তমান নিয়োগ প্রাপ্তরা। তবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের আদলে বর্তমান সহসুপারসহ অন্যান্য নিয়োগ দেখানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদ্রাসা সুপার। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হোসেনের তৃতীয় বিভাগ থাকলেও নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এই সুপার। জেলা শিক্ষা অফিসারের মাদ্রাসা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা ও জেলা শিক্ষা অফিসের ২ কর্মকর্তা।
বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে মোট ৭ জনের নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বমহলে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসায় জেলা শিক্ষা অফিসারের ঝটিকা পরিদর্শন তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস

আপডেট সময় : ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

 

লিমন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারপাখিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার পদসহ অন্যান্য পদে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরিপেক্ষিতে ঝটিকা পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার(৩০ আগষ্ট)বেলা ১২টার দিকে তিনি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এ সময়ে তিনি মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেনীকক্ষ,পাঠদান ও অবকাঠামোগত দিক ঘুরফিরে দেখেন। পরবর্তিতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান ও সাবেক সভাপতি ও শিক্ষকমন্ডলীর সাথে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রচন্ড গরমে শ্রেনীকক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ফ্যান ও প্রতিষ্ঠানের দরজার ব্যবস্থা করেন। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান,দূর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাগজপত্র তলব করেছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
উল্লেখ্য,প্রতিষ্ঠানে বর্তমান সুপার মাদ্রাসার সহসুপার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে ২০১৯ সালে নিয়োগ দেন এবং তার নিয়োগপত্র ব্যাকডেটে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে দেখান। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সহসুপার পদে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে। জানা যায়, তিনি অত্র প্রতিষ্টানে প্রায় আড়াই বছর চাকরী করে ২০১৭ সালের শেষে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এক বছর পর ২০১৯ সালে এসে অত্যান্ত চাতুরতার সাথে সহ-সুপার পদে হাফিজুর রহমানসহ গোলাম মর্তুজা,নাসির উদ্দীন ও শামিম হোসেনকে সহকারী শিক্ষক পদে নগদ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন মাদ্রাসা সুপার আবুল কালাম। ঐ সময় নিয়োগ বোর্ড ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে হয়ে থাকলেও সেখানে লিখিত কিংবা ভাইভা কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেননি বর্তমান নিয়োগ প্রাপ্তরা। তবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের আদলে বর্তমান সহসুপারসহ অন্যান্য নিয়োগ দেখানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদ্রাসা সুপার। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হোসেনের তৃতীয় বিভাগ থাকলেও নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এই সুপার। জেলা শিক্ষা অফিসারের মাদ্রাসা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা ও জেলা শিক্ষা অফিসের ২ কর্মকর্তা।
বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে মোট ৭ জনের নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বমহলে।