ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

ইসলামি মহাসম্মেলন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 37
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–ওলামা জড়ো হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বেলা একটার দিকে সম্মেলন শেষ হবে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামি মহাসম্মেলন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন তারা।

এর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বক্তব্য দিচ্ছেন। তাবলিগ জামায়াতের দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির বিপক্ষে এই মহাসম্মেলন করছেন প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সম্মেলনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বলছেন, দেশে ইজতেমা একবার হবে, দুবার নয়। ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সরেজমিন দেখা যায়, আজ সকালে ফজরের নামাজের পর থেকেই তাবলিগ জামায়াতের লোকজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর উদ্যানের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়ক ও শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যায় তাবলিগ জামায়াতের অনুসারীরা অবস্থান নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেলা পৌনে ১১টার দিকেও তাবলিগের অনুসারীদের মহাসম্মেলনে আসতে দেখা গেছে।

মহাসম্মেলনে বক্তারা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ইসলামি মহাসম্মেলন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল

আপডেট সময় : ১০:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

 

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–ওলামা জড়ো হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বেলা একটার দিকে সম্মেলন শেষ হবে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামি মহাসম্মেলন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন তারা।

এর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বক্তব্য দিচ্ছেন। তাবলিগ জামায়াতের দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির বিপক্ষে এই মহাসম্মেলন করছেন প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সম্মেলনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বলছেন, দেশে ইজতেমা একবার হবে, দুবার নয়। ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সরেজমিন দেখা যায়, আজ সকালে ফজরের নামাজের পর থেকেই তাবলিগ জামায়াতের লোকজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর উদ্যানের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়ক ও শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যায় তাবলিগ জামায়াতের অনুসারীরা অবস্থান নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেলা পৌনে ১১টার দিকেও তাবলিগের অনুসারীদের মহাসম্মেলনে আসতে দেখা গেছে।

মহাসম্মেলনে বক্তারা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা।