পঞ্চগড়ে দুইদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 55
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীত তীব্র হয়ে উঠেছে। হিমালয়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত এই জেলায় গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝিতে কাঁপিয়ে তুলেছে জেলার মানুষদের। জেলায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য শীত উপভোগ্য হলেও, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বেড়েছে ভোগান্তি।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ৩০ নভেম্বরের তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়ার সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, ‘‘দুই দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। রবিবার সকালে তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, এবং ভবিষ্যতে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।”
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থানে ভোরে ঝলমলে রোদ উঠলেও শীত অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড। কৃষাণিরা নবান্নের ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত, আবার শাকসবজি তুলতে কাজে বের হয়েছেন চাষিরা। স্থানীয় মেহের আলী ও হোসেন আলীসহ অনেকেই জানিয়েছেন, “সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা বাড়ে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়, তবে সকাল ১০টার পর গরম অনুভূত হয়।”
পর্যটকরা এই শীতে আনন্দিত। হাবিব ও সুমন নামের কয়েকজন পর্যটক বলেন, “ঢাকায় এখনও ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়, কিন্তু পঞ্চগড়ে শীতের অনুভূতি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে আমরা দারুণ উপভোগ করছি।”
এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ রোগী শীতজনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া, প্রতিদিন শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শীতের আবহ শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে দিনের বেলা রোদ থাকলেও বিকেলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
নিউজটি শেয়ার করুন