ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

জিয়া মোস্তাফিজ ভূঁইয়ার সেবায় মুগ্ধ নোয়াখালীবাসী

জুয়েল রানা লিটন নোয়াখালী
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 18

ডি আই ও-১, জিয়া মো: মোস্তাফিজ ভূঁইয়া

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নোয়াখালী থেকে গত ৩ ডিসেম্বর বিদায়ী নিলেন একজন দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা ডি আই ও-১, জিয়া মো: মোস্তাফিজ ভূঁইয়া। তার বিদায়ে ডিএসবি অফিসে বেদনার সুর।

জানা যায়, পুলিশের এই দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা নোয়াখালীতে যোগদানের পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করে ডিএসবি অফিসের বিরুদ্ধে গুঞ্জন থাকা বহু অপবাদ। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ অন্যান্য সকল সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন হয়রানীর মতো অভিযোগগুলো কারো মুখে তেমন একটা শোনা যেত না।

অনেক সেবা প্রার্থীরা এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক সেবায় নিজেদের সন্তুষ্টির কথা বলতে শোনা গেছে। ডিআইও-১ মুস্তাফিজ ভূঁইয়া অত্র জেলায় তার দুই বছরের বেশী সময় ধরে দায়িত্ব পালনে তার নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে নোয়াখালীবাসীর মন জয় করেছেন। ডিএসবি অফিসকে করে তুলেছেন অভিযোগ মুক্ত সেবা কেন্দ্র। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও এই কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কোন প্রকার উস্কানিমূলক আচরণ না করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারকে।

স্মরণকালের ভয়াবহ অতিবৃষ্টিতে দীর্ঘ সময়ের সৃষ্ট পানিবন্দি অসহায় বন্যার্তদের পাশে নিজের সামর্থ্য নিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং সারা জীবন মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে চান বলে জানান তিনি। পুলিশের পাসপোর্ট তদন্তে হয়রানি না হওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নোয়াখালীবাসী।

নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার পাসপোর্ট ক্লিয়ারেন্স এর বিষয়ে ডিএসবি অফিসে গিয়ে জিয়া মোস্তাফিজ স্যারের যে সেবা ও আন্তরিক ব্যবহার পেয়েছিলাম তা নিজের সঙ্গে না ঘটলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না।

বেগমগঞ্জ উপজেলার মিররাসপুরের বাসিন্দা সাবরিনা আক্তার জানান, ওমরা পালনে সৌদি আরব যেতে আমার একবছর বয়সী সন্তানের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার পর ক্লিয়ারেন্সের জন্য গত এক মাস ধরে আটকে থাকার পর আমি ডি আই ও-১ স্যারের কাছে সমস্যা বলার পর আমার সবকিছু তিনি নিজে দেখে দশ মিনিটের মধ্যে আমার সমস্যার সমাধান করে দিলেন। স্যারের জন্য আমার পরিবার আজীবন দোয়া করবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

জিয়া মোস্তাফিজ ভূঁইয়ার সেবায় মুগ্ধ নোয়াখালীবাসী

আপডেট সময় : ০৫:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

নোয়াখালী থেকে গত ৩ ডিসেম্বর বিদায়ী নিলেন একজন দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা ডি আই ও-১, জিয়া মো: মোস্তাফিজ ভূঁইয়া। তার বিদায়ে ডিএসবি অফিসে বেদনার সুর।

জানা যায়, পুলিশের এই দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা নোয়াখালীতে যোগদানের পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করে ডিএসবি অফিসের বিরুদ্ধে গুঞ্জন থাকা বহু অপবাদ। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ অন্যান্য সকল সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন হয়রানীর মতো অভিযোগগুলো কারো মুখে তেমন একটা শোনা যেত না।

অনেক সেবা প্রার্থীরা এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক সেবায় নিজেদের সন্তুষ্টির কথা বলতে শোনা গেছে। ডিআইও-১ মুস্তাফিজ ভূঁইয়া অত্র জেলায় তার দুই বছরের বেশী সময় ধরে দায়িত্ব পালনে তার নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে নোয়াখালীবাসীর মন জয় করেছেন। ডিএসবি অফিসকে করে তুলেছেন অভিযোগ মুক্ত সেবা কেন্দ্র। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও এই কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কোন প্রকার উস্কানিমূলক আচরণ না করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারকে।

স্মরণকালের ভয়াবহ অতিবৃষ্টিতে দীর্ঘ সময়ের সৃষ্ট পানিবন্দি অসহায় বন্যার্তদের পাশে নিজের সামর্থ্য নিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং সারা জীবন মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে চান বলে জানান তিনি। পুলিশের পাসপোর্ট তদন্তে হয়রানি না হওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নোয়াখালীবাসী।

নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার পাসপোর্ট ক্লিয়ারেন্স এর বিষয়ে ডিএসবি অফিসে গিয়ে জিয়া মোস্তাফিজ স্যারের যে সেবা ও আন্তরিক ব্যবহার পেয়েছিলাম তা নিজের সঙ্গে না ঘটলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না।

বেগমগঞ্জ উপজেলার মিররাসপুরের বাসিন্দা সাবরিনা আক্তার জানান, ওমরা পালনে সৌদি আরব যেতে আমার একবছর বয়সী সন্তানের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার পর ক্লিয়ারেন্সের জন্য গত এক মাস ধরে আটকে থাকার পর আমি ডি আই ও-১ স্যারের কাছে সমস্যা বলার পর আমার সবকিছু তিনি নিজে দেখে দশ মিনিটের মধ্যে আমার সমস্যার সমাধান করে দিলেন। স্যারের জন্য আমার পরিবার আজীবন দোয়া করবে।