পালিয়ে আসা মিয়ানমার সেনাদের নিয়ে নানা ভীতি
- আপডেট সময় : ১১:২৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
- / 79
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বাড়ছে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যের সংখ্যা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা সদস্যদের রাখা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ অবস্থায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নানামুখী সমস্যা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যেমন রয়েছে স্থলপথ, ঠিক তেমনি আছে নদী ও সাগরপথ। প্রতিদিনই সীমান্তের ওপারে কোনো না কোনো ঘাঁটিতে হচ্ছে গোলার বিস্ফোরণ। চলছে তীব্র গুলি বিনিময়। তবে এখন বিজিপি ও আরাকান আর্মির মধ্যকার লড়াই জোরালো হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ জামছড়ি সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে।
আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। অন্যদিকে গুলি, গোলার বিস্ফোরণ ও বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় আতঙ্কে জামছড়ি সীমান্তের বাসিন্দারা।
গেলো দেড়মাসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৬১ জন সদস্য। যাদেরকে বিজিবি হেফাজতে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় দিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানামুখী সমস্যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছারের দাবি, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরত পাঠালে এলাকার ভীতিকর পরিস্থিতি কেটে যাবে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
নিউজটি শেয়ার করুন