শেখ হাসিনা, রেহানা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

- আপডেট সময় : ০৫:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 7
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে জমি বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিনটি ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম।
দুদকের দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিক আসামি হিসেবে রয়েছেন এবং শেখ রেহানা, তার কন্যা আজমিনা সিদ্দিক ও পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক প্রত্যেকে আলাদা মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি শেখ রেহানার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। এতে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং তিনি শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
একইভাবে, আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যেখানে আজমিনা সিদ্দিক, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে।
এছাড়া, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। এই মামলায়ও শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
তিনটি মামলার চার্জশিটেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শেখ রেহানা, আজমিনা সিদ্দিক এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক প্লট বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত ফরমে কোনো আবেদন করেননি। অভিযোগ আনা হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর প্রভাব বিস্তার করে এই প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন।
এই মামলাগুলোতে অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীসহ অনেকে।