ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি বরাদ্দে ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে

ডেইলি আর্থ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 60

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে।

এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন জানান, ‘মুজিববর্ষে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা, তবে খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৭ কোটি টাকার ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে, এবং মুখে আরও ২ কোটি টাকার খরচের কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও জানান, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে গত কয়েক বছর ২-৩টি দল অংশ নিত, এবার ৬০টি দল নিয়েছে। এটি এন্ট্রি ফি কমানোর কারণে নাকি অন্য কারণে, তা খতিয়ে দেখছে দুদক।

এছাড়া বিপিএলের প্রথম ৮ আসরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা, আর একাদশতম আসরে আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। এটি নিয়েও তদন্ত চলছে।’

দুদকের আরেক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের বিষয় ও ২০২৩ সালের টিম সিলেকশন নিয়ে।

বিগত বছরগুলোতে কীভাবে হয়েছে, তা আমরা এখানে এসে দেখেছি।

তাদের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারিত ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে ২-৩টি দল আবেদন করত, তা থেকেই তারা বাছাই করত ২/১টি দল।

এবার ফি এক লাখ টাকা করে দিলো, তখন ৬০টি দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি, এখন যাচাই-বাছাই করব।’

এদিকে, সম্প্রতি বিসিবির পরিচালক মাহবুবুল আনামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।

এছাড়া, বিসিবির ১১ পরিচালক পদত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে নাজমুল হাসান পাপন, মঞ্জুর কাদের, আ জ ম নাছির উদ্দিন, শেখ সোহেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভির আহমেদ (টিটু), ওবায়েদ রশিদ নিজাম, গাজী গোলাম মোর্তজা, নাজিব আহমেদ, নাঈমুর রহমান, এনায়েত হোসেন সিরাজ ও খালেদ মাহমুদ সুজন।

তাদের পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ নেতৃত্বে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে ।

বিসিবির দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক পরিচালকদের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তারা ১৭ বছরের দুর্নীতির তদন্তের জন্য ফারুক আহমেদকে অনুরোধ করেছেন ।

এখন পর্যন্ত বিসিবির বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরকারি বরাদ্দে ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে

আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে।

এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন জানান, ‘মুজিববর্ষে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা, তবে খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৭ কোটি টাকার ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে, এবং মুখে আরও ২ কোটি টাকার খরচের কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও জানান, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে গত কয়েক বছর ২-৩টি দল অংশ নিত, এবার ৬০টি দল নিয়েছে। এটি এন্ট্রি ফি কমানোর কারণে নাকি অন্য কারণে, তা খতিয়ে দেখছে দুদক।

এছাড়া বিপিএলের প্রথম ৮ আসরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা, আর একাদশতম আসরে আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। এটি নিয়েও তদন্ত চলছে।’

দুদকের আরেক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের বিষয় ও ২০২৩ সালের টিম সিলেকশন নিয়ে।

বিগত বছরগুলোতে কীভাবে হয়েছে, তা আমরা এখানে এসে দেখেছি।

তাদের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারিত ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে ২-৩টি দল আবেদন করত, তা থেকেই তারা বাছাই করত ২/১টি দল।

এবার ফি এক লাখ টাকা করে দিলো, তখন ৬০টি দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি, এখন যাচাই-বাছাই করব।’

এদিকে, সম্প্রতি বিসিবির পরিচালক মাহবুবুল আনামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।

এছাড়া, বিসিবির ১১ পরিচালক পদত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে নাজমুল হাসান পাপন, মঞ্জুর কাদের, আ জ ম নাছির উদ্দিন, শেখ সোহেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভির আহমেদ (টিটু), ওবায়েদ রশিদ নিজাম, গাজী গোলাম মোর্তজা, নাজিব আহমেদ, নাঈমুর রহমান, এনায়েত হোসেন সিরাজ ও খালেদ মাহমুদ সুজন।

তাদের পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ নেতৃত্বে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে ।

বিসিবির দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক পরিচালকদের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তারা ১৭ বছরের দুর্নীতির তদন্তের জন্য ফারুক আহমেদকে অনুরোধ করেছেন ।

এখন পর্যন্ত বিসিবির বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।