বাংলাদেশের সঙ্গে “ফলপ্রসূ আলোচনা” হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৈঠকটি বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন, আর পাকিস্তানের পক্ষে অংশ নেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবের এই সফরকে দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-ইসলামাবাদ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পুনরায় শুরু হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার দিকেও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. শাহাব এনাম খান বলেন, “পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের এই সফর বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।

বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিক থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধসহ যেসব অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে, সেগুলোও আলোচনায় আসা জরুরি।”

তিনি আরও জানান, উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে, যা ব্যবসা ও পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

একই সঙ্গে আমদানি-রফতানিসহ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে, চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

২০১২ সালের পর এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরগুলোর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।