ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

রিজার্ভ কমে দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / 73
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, গত বুধবার দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৮৯ কোটি মার্কিন ডলারে। এদিন মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। গত বছরের এই সময়ে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১.১৮ বিলিয়ন বা তিন হাজার ১১৮ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এমনটাই জানা গেছে। ঈদের আগে গত ৮ এপ্রিল বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ ছিল ২০.১০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১০ কোটি ডলার। আর ওই দিন মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত ১০ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার।

এই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। তবে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার কার্যক্রমের মধ্যে থাকায় ওই হিসাবটি তাদের জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফের ঋণচুক্তি অনুযায়ী, প্রতি তিন মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ নিট রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে হবে। সেই হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

একটি দেশের প্রকৃত রিজার্ভ থাকতে হয় আমদানি ব্যয়ের অন্তত তিন মাসের সমপরিমাণ ডলার। বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় প্রতি মাসে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে বর্তমানে নিট রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ পূরণ করা যাবে না। অর্থনীতির জন্য যা এক বড় বিপত্সংকেত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণ মার্কিন ডলার হিসেবে পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই ডলার আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে জমা থাকে। এখান থেকে আবার বাংলাদেশ আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করা, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, বিদেশে যাওয়া পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার টিউশন ফি দেওয়া হয়। এভাবে ডলার আয় ও ব্যয়ের পর যা অবশিষ্ট থাকে, সেটাই রিজার্ভ। আর যখন ডলার আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়, তখন রিজার্ভ কমে যায়। তবে সরকার এলসি কমিয়ে ডলার ধরে রাখতে চাচ্ছে। তবু কমছে রিজার্ভের পরিমাণ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

রিজার্ভ কমে দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে

আপডেট সময় : ১১:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, গত বুধবার দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৮৯ কোটি মার্কিন ডলারে। এদিন মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। গত বছরের এই সময়ে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১.১৮ বিলিয়ন বা তিন হাজার ১১৮ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এমনটাই জানা গেছে। ঈদের আগে গত ৮ এপ্রিল বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ ছিল ২০.১০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১০ কোটি ডলার। আর ওই দিন মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত ১০ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার।

এই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। তবে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার কার্যক্রমের মধ্যে থাকায় ওই হিসাবটি তাদের জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফের ঋণচুক্তি অনুযায়ী, প্রতি তিন মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ নিট রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে হবে। সেই হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

একটি দেশের প্রকৃত রিজার্ভ থাকতে হয় আমদানি ব্যয়ের অন্তত তিন মাসের সমপরিমাণ ডলার। বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় প্রতি মাসে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে বর্তমানে নিট রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ পূরণ করা যাবে না। অর্থনীতির জন্য যা এক বড় বিপত্সংকেত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণ মার্কিন ডলার হিসেবে পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই ডলার আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে জমা থাকে। এখান থেকে আবার বাংলাদেশ আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করা, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, বিদেশে যাওয়া পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার টিউশন ফি দেওয়া হয়। এভাবে ডলার আয় ও ব্যয়ের পর যা অবশিষ্ট থাকে, সেটাই রিজার্ভ। আর যখন ডলার আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়, তখন রিজার্ভ কমে যায়। তবে সরকার এলসি কমিয়ে ডলার ধরে রাখতে চাচ্ছে। তবু কমছে রিজার্ভের পরিমাণ।