ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসচালকের ক্লান্তির ঘুমেই চিরঘুমে ১৫ জন!

ডেইলি আর্থ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ফাইল ছবি

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের পরে বাস চালকের দীর্ঘ সময় গাড়ি পরিচালনায় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম, দুটি যানের অধিক গতি, মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশার উপস্থিতি।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল শেখ বাদী হয়ে যাত্রীবাহী বাসের চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা দিকনগর এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা নারী, পুরুষ, শিশু সহ ১১ জন মারা যান। আহত হন ৭ জন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৪ জন। এ ঘটনায় দুর্ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাসচালকের ক্লান্তির ঘুমেই চিরঘুমে ১৫ জন!

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরের কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের পরে বাস চালকের দীর্ঘ সময় গাড়ি পরিচালনায় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম, দুটি যানের অধিক গতি, মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশার উপস্থিতি।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল শেখ বাদী হয়ে যাত্রীবাহী বাসের চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা দিকনগর এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা নারী, পুরুষ, শিশু সহ ১১ জন মারা যান। আহত হন ৭ জন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৪ জন। এ ঘটনায় দুর্ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।