ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুমের শিকার ৩০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি প্রধান কৌঁসুলির Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি

‘বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইউরোপ’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / 127
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, হাঙ্গেরিসহ আরও কয়েকটি দেশের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা জয়লাভ করেছে। ফলে ইইউর অভিবাসননীতি আরও বেশি রক্ষণশীল হবে এবং অবৈধ পথে অভিবাসন আরও কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বৈধ পথে শ্রমিক পাঠানোর পাশাপাশি অপ্রথাগত শ্রমিক বাজার যেমন পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতেও সম্ভাবনা খুঁজে দেখা দরকার।

ইউরোপ শ্রমিক নিতে আগ্রহী জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ইউরোপে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ার কারণে শ্রমিক সংকট রয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নিতে আগ্রহী। কিন্তু এর বিনিময়ে ওই দেশে যারা অবৈধ রয়েছেন, তাদের ফেরত নিতে হবে।’

অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের যে ব্যবস্থা রয়েছে (এসওপি), সেটি ভালো কাজ করছে। এ কারণে বৈধ পথে শ্রমিক নেওয়ার যে মেকানিজম, ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম, সেটিতে তারা বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে তিনি জানান।

সাবেক এই আমলা জানান, এসওপি ভালো কাজ করার ফলে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য (দেশগুলো ইইউর সদস্য নয়) সঙ্গে বাংলাদেশ নতুন করে এসওপি সই করেছে। এখন সার্বিয়ার সঙ্গে বড় আকারে শ্রমিক অভিবাসন নিয়ে আলোচনা চলছে।

নতুন বাজার
অভিবাসন একটি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ইস্যু এবং রক্ষণশীলরা বিষয়টি আদৌ পছন্দ করে না। ইউরোপে নার্স, কেয়ারগিভার, ট্রাক ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় প্রচুর লোকের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বিদেশিদের এসব চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মনমানসিকতা কিছুটা নেতিবাচক।

মো. শহীদুল হক বলেন, ‘পূর্ব ইউরোপের প্রচুর লোক এখন পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলোয় চাকরি করছে। এ কারণে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় শ্রমিক ঘাটতি আছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ থেকে সেখানে লোক যাচ্ছে জানিয়ে সাবেক এই সচিব বলেন, ‘সেখানে ঠিকমতো যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো সহজ হতে পারে।’

শ্রমিক পাঠানোর চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মঠ, এমন সুনাম থাকলেও তারা খুব দ্রুত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করেন বলে কিছুটা অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘মোটাদাগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি প্রবণতা হচ্ছে ইউরোপের কম ধনী দেশগুলোতে তারা চাকরি নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পর তারা ধনী দেশগুলোতে পালিয়ে যায়। ফলে সুনামের ঘাটতি তৈরি হয়।’

নিজের অভিজ্ঞতা ও ইউরোপের দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আলোকে শহীদুল হক বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ইউরোপে নেপালের শ্রমিকদের সুনাম আছে। এ কারণে ইউরোপের দেশগুলো এখন নেপাল থেকে অধিক সংখ্যক শ্রমিক নিচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নিতে আগ্রহী ইউরোপ’

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, হাঙ্গেরিসহ আরও কয়েকটি দেশের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা জয়লাভ করেছে। ফলে ইইউর অভিবাসননীতি আরও বেশি রক্ষণশীল হবে এবং অবৈধ পথে অভিবাসন আরও কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বৈধ পথে শ্রমিক পাঠানোর পাশাপাশি অপ্রথাগত শ্রমিক বাজার যেমন পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতেও সম্ভাবনা খুঁজে দেখা দরকার।

ইউরোপ শ্রমিক নিতে আগ্রহী জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ইউরোপে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ার কারণে শ্রমিক সংকট রয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নিতে আগ্রহী। কিন্তু এর বিনিময়ে ওই দেশে যারা অবৈধ রয়েছেন, তাদের ফেরত নিতে হবে।’

অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের যে ব্যবস্থা রয়েছে (এসওপি), সেটি ভালো কাজ করছে। এ কারণে বৈধ পথে শ্রমিক নেওয়ার যে মেকানিজম, ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম, সেটিতে তারা বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে তিনি জানান।

সাবেক এই আমলা জানান, এসওপি ভালো কাজ করার ফলে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য (দেশগুলো ইইউর সদস্য নয়) সঙ্গে বাংলাদেশ নতুন করে এসওপি সই করেছে। এখন সার্বিয়ার সঙ্গে বড় আকারে শ্রমিক অভিবাসন নিয়ে আলোচনা চলছে।

নতুন বাজার
অভিবাসন একটি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ইস্যু এবং রক্ষণশীলরা বিষয়টি আদৌ পছন্দ করে না। ইউরোপে নার্স, কেয়ারগিভার, ট্রাক ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পেশায় প্রচুর লোকের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বিদেশিদের এসব চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মনমানসিকতা কিছুটা নেতিবাচক।

মো. শহীদুল হক বলেন, ‘পূর্ব ইউরোপের প্রচুর লোক এখন পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলোয় চাকরি করছে। এ কারণে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় শ্রমিক ঘাটতি আছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ থেকে সেখানে লোক যাচ্ছে জানিয়ে সাবেক এই সচিব বলেন, ‘সেখানে ঠিকমতো যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো সহজ হতে পারে।’

শ্রমিক পাঠানোর চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মঠ, এমন সুনাম থাকলেও তারা খুব দ্রুত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করেন বলে কিছুটা অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘মোটাদাগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি প্রবণতা হচ্ছে ইউরোপের কম ধনী দেশগুলোতে তারা চাকরি নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পর তারা ধনী দেশগুলোতে পালিয়ে যায়। ফলে সুনামের ঘাটতি তৈরি হয়।’

নিজের অভিজ্ঞতা ও ইউরোপের দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আলোকে শহীদুল হক বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ইউরোপে নেপালের শ্রমিকদের সুনাম আছে। এ কারণে ইউরোপের দেশগুলো এখন নেপাল থেকে অধিক সংখ্যক শ্রমিক নিচ্ছে।’