ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / 127
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের বাগানে হাঁটাহাটি করতে মন্দ লাগে না। আবার মনের মানুষের হাত ধরে গড়ের মাঠে হাঁটার অভিজ্ঞতাও বেশ আকর্ষণীয়।

শহুরে জীবনে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস কম। অনেকে আবার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকেন। অথচ একটা সময় ছিল মানুষ মাইলের পর মাইলে হাঁটতেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খালি পায়ে নিয়মিত হাঁটা অভ্যাস করলে জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত বহু সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষ করে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যেমন-

মানসিক চাপমুক্ত রাখে : সকালে শিশিরভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অবসাদগ্রস্ত মন নিমেষেই ভাল করে দিতে পারে এই অভ্যাস।

দৃষ্টিশক্তি : খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে বাড়ে দৃষ্টিশক্তি। শরীরের অনেক অংশের সঙ্গে সংযোগ থাকে পায়ের। পায়ের নীচে চাপ পড়লে সেই অংশগুলি প্রভাবিত হয়। চোখের সঙ্গে যোগ রয়েছে পায়ের। খালি পায়ে হাঁটলে চোখের নির্দিষ্ট বিন্দুতে চাপ পড়ে। এতে বাড়ে দৃষ্টিশক্তি।

মনমেজাজ ফুরফুরে রাখে : খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে এনডরফিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘হ্যাপি’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে।

প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখে : প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিবিড়। তবে এই প্রজন্মের কর্মসংস্কৃতি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ খানিকটা কমিয়েই দিয়েছে, যা মনের জন্যে খুব একটা ভাল নয়। খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটাহাঁটি সেই সংযোগকে আবার তৈরি করে দিতে পারে।

শারীরবৃত্তীয় কাজ সচল রাখতে সাহায্য করে : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘাস কিংবা মাটির সঙ্গে শরীরের যোগাযোগ গোটা স্নায়ুতন্ত্রকে দেহের ঘড়ি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ থেকে শুরু করে হরমোনের ক্ষরণ— সবটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করে : রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না বলে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? কিন্তু তাতে ওষুধের প্রতি কেবল নির্ভরতাই তৈরি হচ্ছে, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হচ্ছে না। ঘাসের ওপর খালি পায়ে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে দূর হবে ঘুমের সমস্যাও।

এলার্জির চিকিৎসায় : সকালে শিশিরভেজা ঘাসের উপর হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এটাকে গ্রিন থেরাপিও বলেন অনেকে। এটি পায়ের নিচে কোমল কোষের সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুকে সক্রিয় করে। সেই সংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে। ফলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা দূর করে।

পায়ের ম্যাসাজ : পায়ের উপর সারাদিন চাপ পড়ে। পায়ের ম্যাসাজ দরকার তাই। ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে ফুট ম্যাসাজের কাজ হয়। পায়ের মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়। পায়ের ব্যথা দূর হয়। পায়ের ক্লান্তিভাব কাটাতেও জুড়ি নেই গ্রিন থেরাপি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার উপকারিতা

আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের বাগানে হাঁটাহাটি করতে মন্দ লাগে না। আবার মনের মানুষের হাত ধরে গড়ের মাঠে হাঁটার অভিজ্ঞতাও বেশ আকর্ষণীয়।

শহুরে জীবনে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস কম। অনেকে আবার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকেন। অথচ একটা সময় ছিল মানুষ মাইলের পর মাইলে হাঁটতেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খালি পায়ে নিয়মিত হাঁটা অভ্যাস করলে জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত বহু সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষ করে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যেমন-

মানসিক চাপমুক্ত রাখে : সকালে শিশিরভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অবসাদগ্রস্ত মন নিমেষেই ভাল করে দিতে পারে এই অভ্যাস।

দৃষ্টিশক্তি : খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে বাড়ে দৃষ্টিশক্তি। শরীরের অনেক অংশের সঙ্গে সংযোগ থাকে পায়ের। পায়ের নীচে চাপ পড়লে সেই অংশগুলি প্রভাবিত হয়। চোখের সঙ্গে যোগ রয়েছে পায়ের। খালি পায়ে হাঁটলে চোখের নির্দিষ্ট বিন্দুতে চাপ পড়ে। এতে বাড়ে দৃষ্টিশক্তি।

মনমেজাজ ফুরফুরে রাখে : খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে এনডরফিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘হ্যাপি’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে।

প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখে : প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিবিড়। তবে এই প্রজন্মের কর্মসংস্কৃতি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ খানিকটা কমিয়েই দিয়েছে, যা মনের জন্যে খুব একটা ভাল নয়। খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটাহাঁটি সেই সংযোগকে আবার তৈরি করে দিতে পারে।

শারীরবৃত্তীয় কাজ সচল রাখতে সাহায্য করে : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘাস কিংবা মাটির সঙ্গে শরীরের যোগাযোগ গোটা স্নায়ুতন্ত্রকে দেহের ঘড়ি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ থেকে শুরু করে হরমোনের ক্ষরণ— সবটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করে : রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না বলে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? কিন্তু তাতে ওষুধের প্রতি কেবল নির্ভরতাই তৈরি হচ্ছে, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হচ্ছে না। ঘাসের ওপর খালি পায়ে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে দূর হবে ঘুমের সমস্যাও।

এলার্জির চিকিৎসায় : সকালে শিশিরভেজা ঘাসের উপর হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এটাকে গ্রিন থেরাপিও বলেন অনেকে। এটি পায়ের নিচে কোমল কোষের সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুকে সক্রিয় করে। সেই সংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে। ফলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা দূর করে।

পায়ের ম্যাসাজ : পায়ের উপর সারাদিন চাপ পড়ে। পায়ের ম্যাসাজ দরকার তাই। ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে ফুট ম্যাসাজের কাজ হয়। পায়ের মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়। পায়ের ব্যথা দূর হয়। পায়ের ক্লান্তিভাব কাটাতেও জুড়ি নেই গ্রিন থেরাপি।