ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 124
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।