ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 48
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।