ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

তাপপ্রবাহে ইউরোপে মৃত্যু বেড়েছে ৩০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / 84
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সাম্প্রতিককালে ইউরোপে গরমের তীব্রতা বেড়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বা মানবদেহ এই তাপমাত্রার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) ইউরোপের কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থা দুইটি গত বছরের তীব্র তাপপ্রবাহের বিষয় নিয়ে ইউরোপের জলবায়ুর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন মাত্রার তাপপ্রবাহের বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মূলত যারা বাইরে কাজ করে, বয়স্ক ও যাদের হৃদরোগজনিস সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এ ধরনের অতিরিক্ত গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি।

গত জুলাইতে ইতালির কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। সে সময় ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রোড মার্কিং করার সময় অজ্ঞান হন ও মারা যান।

২০২৩ সালে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের কিছু অংশ দশ দিন পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়। সে সময় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩০ বছরে তাপপ্রবাহজনিত সমস্যার কারণে ইউরোপে মৃত্যু প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

ইইউ এর পরিবেশ সংস্থা গত মাসে সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রস্তুত ও বাইরে কাজ করে এমন কর্মীদের চরম তাপ থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল গত বছর। ইউরোপ হলো বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতার মহাদেশ।

এই তীব্র তাপপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন। তাছাড়া আবহাওয়ার প্রাকৃতিক ইভেন্ট এল নিনোও এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

তাপপ্রবাহে ইউরোপে মৃত্যু বেড়েছে ৩০ শতাংশ

আপডেট সময় : ১০:২৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

 

সাম্প্রতিককালে ইউরোপে গরমের তীব্রতা বেড়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বা মানবদেহ এই তাপমাত্রার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) ইউরোপের কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থা দুইটি গত বছরের তীব্র তাপপ্রবাহের বিষয় নিয়ে ইউরোপের জলবায়ুর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন মাত্রার তাপপ্রবাহের বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মূলত যারা বাইরে কাজ করে, বয়স্ক ও যাদের হৃদরোগজনিস সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এ ধরনের অতিরিক্ত গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি।

গত জুলাইতে ইতালির কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। সে সময় ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রোড মার্কিং করার সময় অজ্ঞান হন ও মারা যান।

২০২৩ সালে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের কিছু অংশ দশ দিন পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়। সে সময় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩০ বছরে তাপপ্রবাহজনিত সমস্যার কারণে ইউরোপে মৃত্যু প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

ইইউ এর পরিবেশ সংস্থা গত মাসে সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রস্তুত ও বাইরে কাজ করে এমন কর্মীদের চরম তাপ থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল গত বছর। ইউরোপ হলো বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতার মহাদেশ।

এই তীব্র তাপপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন। তাছাড়া আবহাওয়ার প্রাকৃতিক ইভেন্ট এল নিনোও এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।