ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / 88
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

 

ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।