রাখাইনে জান্তার ২০০ সেনাকে আটক করল আরাকান আর্মি
- আপডেট সময় : ১০:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে জান্তা বাহিনীর পুরো একটি কমান্ড বা ব্যাটালিয়নকে পরাজিত ও আটক করেছে রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারসহ প্রায় ২০০ সেনা বর্তমানে আরাকান আর্মির জিম্মায় রয়েছেন।
সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি। সেই ভিডিওতে একটি মাঠের মধ্যে প্রায় ২০০ ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের পরনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্ম ছিল, অনেকে টিশার্ট-শর্টসও পরে ছিলেন। এই সেনাদের পাশে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়েছিল আরাকান আর্মির যোদ্ধারা।
ভিডিওর সঙ্গে সংযুক্ত বার্তায় বলা হয়, সামরিক বাহিনীর রাখাইন প্রাদেশিক ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত এমওসি ১৫ কমান্ডের উপকমান্ডার এবং তার অধীন প্রায় ২০০ সেনাকে বন্দি করেছে আরাকান আর্মি। এএ যোদ্ধাদের ‘চুড়ান্ত হামলার মুখে টিকতে না পেরে’ এই সেনারা আত্মসমর্পণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ভিডিওটিতে।
বার্তাসংস্থা এএফপি এ ইস্যুতে আরও তথ্য জানতে জান্তা মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো মুখপাত্র কথা বলতে রাজি হননি।
রাখাইন প্রদেশের ঠিক কোথায় এএ যোদ্ধা এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত হয়েছে, তা বলা হয়নি আরাকান আর্মির ভিডিওতে, তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে— প্রদেশের বুথিডং জেলার আশেপাশে কোথাও দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। আরাকান আর্মিও তাদের মধ্যে অন্যতম।
রাখাইনের প্রদেশ সিতওয়ের নিয়ন্ত্রণ এখনও নিতে পারেনি আরাকান আর্মি, তবে রাজধানীর আশপাশের গ্রাম-শহর এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের দখল ইতোমধ্যে চলে গেছে আরাকান আর্মির হাতে। এছাড়া প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৫টিতেই জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের অল্প সময়ের মধ্যেই মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে সে সময় থেকেই গড়ে উঠতে থাকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
দশকের পর দশক ধরে সামরিক বাহিনীর জবর-দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে আরকান আর্মিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে তাদের এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২২-২৩ সাল থেকে।
সূত্র : এএফপি