হংকং-সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপালে নিষিদ্ধ হলো ভারতীয় মসলা
- আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
- / 70
হংকং ও সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপাল ভারতীয় দুই মসলা প্রস্তুতকারী কম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ভারতীয় কম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট মসলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতির কারণে আমদানি ও বিক্রিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মসলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন আমরা বাজারে এই মসলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।’ এদিকে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় মসলা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছি আমেরিকা। মসলা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি চালু করেছে ব্রিটেনও।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় মসলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কম্পানির মসলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন। ইথিলিন অক্সাইডের অতিরিক্ত ব্যবহার মানব শরীরে ডেকে আনতে পারে ক্যান্সারের মতো মারণরোগ।
এরপরই ভারতীয় কোম্পানির মসলা পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
এফডিএর ভারতীয় মসলা পণ্যের কথিত দূষণের পর্যালোচনার প্রতিবেদন সর্বপ্রথম প্রকাশ করে রয়টার্স। ভারতে এই দুই কম্পানির গুঁড়া মসলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায়ও রপ্তানি করা হয়। ভারতের মসলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। এই মসলাগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশও।
বিশ্বজুড়ে অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে ভারত।
মসলায় ‘বিষ’ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না তা যাচাই করতে এবার আরো নিখুঁত এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’। ভারত থেকে অন্য দেশে পাঠানো মসলা, বাইরে থেকে আনা মসলা এবং দেশে ব্যবহারের জন্য যে মসলা তৈরি হয়, সবই যাচাই করে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই দেড় হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মসলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ২০২২-২৩ সালে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মসলা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মসলা বোর্ড।
নিউজটি শেয়ার করুন