আফগানিস্তানে ফের ভয়াবহ বন্যা, অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
ভারি বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির কাছে জিনিসপত্র নিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ছবিটি ১৮ মে আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের ফিরোজকোহ থেকে তোলা। ছবি : এএফপি
ভারি বৃষ্টিপাত মধ্য আফগানিস্তানে ফের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি। তার মধ্যেই আবারও আকস্মিক বন্যা হলো দেশটিতে।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কৃষিজমির বিশাল অংশ প্লাবিত হয়েছে।
সেন্ট্রাল আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া নতুন আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান।
ঘোর এলাকার পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারায় এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।’
সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলভি আবদুল হাই জাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই।
জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজকোহতে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শত শত হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরুদ্ধ রয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বিপর্যয়
গত সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলানে আকস্মিক বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত রবিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বাঘলানের বন্যায় কমপক্ষে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ ।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, জীবিতদের কোনো বাড়ি নেই, জমি নেই এবং জীবিকার কোনো উৎস নেই।
ঘোর প্রদেশের নদীতে ভেসে যাওয়া মৃতদেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টার সময় ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে গত বুধবার আফগান বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্ঘটনায় অন্তত একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, আফগানিস্তান জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা দখল করে। তার পর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান।