ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে ইতালির শ্রমভিসা কেনাবেচা হয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 70
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে থেকে ইতালিতে আসা কর্মীদের বড় অংশই বাংলাদেশের। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি। ভিডিও বার্তায় ইতালির শ্রমভিসা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন জর্জিয়া।

তিনি বলেন, কূটনীতিকেরা বাংলাদেশে শ্রমভিসা কেনাবেচার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। দেশটিতে এক-একটি ভিসা ১৫ হাজার ইউরো (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) করে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তারা।

ইতালির ভিসা ব্যবস্থায় থাকা ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে দেশটিতে পাচার করছে অপরাধীচক্র। মাফিয়া বিরোধী প্রসিকিউটরের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি।

তিনি বলেন, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

২০২৩-২০২৫ সময়কালের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের শ্রমভিসার কোটা গত বছর বাড়িয়েছে মেলোনি সরকার। এখন এই কোটা চার লাখ ৫২ হাজার। আগের তিন বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে ইতালি মাত্র ৩০ হাজার ৮৫০টি ভিসা ইস্যু করেছিল।

মেলোনি বলেন, ভিসাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ‘আতঙ্কজনক’ তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কিছু অঞ্চল থেকে (বিশেষ করে কাম্পানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আবেদন করা হয়েছে।

মেলোনির দপ্তর থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় বলা হয়েছে, ‘‘এত বেশিসংখ্যক আবেদনের বিপরীতে কাজের ভিসা পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক কাজের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। কাম্পানিয়াতে এর হার তিন শতাংশেরও কম।’’

তিনি জানান, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র প্রায় ১৫ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে প্রবেশের অধিকার নেই এমন অভিবাসীদেরও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে।

দেশটির মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলোনি। ১৩ থেকে ১৫ জুন ইতালিতে জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের পর এই অনিয়ম রোধে নতুন ব্যবস্থা পাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭৪ জন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে ইতালির শ্রমভিসা কেনাবেচা হয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

 

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে থেকে ইতালিতে আসা কর্মীদের বড় অংশই বাংলাদেশের। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি। ভিডিও বার্তায় ইতালির শ্রমভিসা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন জর্জিয়া।

তিনি বলেন, কূটনীতিকেরা বাংলাদেশে শ্রমভিসা কেনাবেচার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। দেশটিতে এক-একটি ভিসা ১৫ হাজার ইউরো (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) করে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তারা।

ইতালির ভিসা ব্যবস্থায় থাকা ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে দেশটিতে পাচার করছে অপরাধীচক্র। মাফিয়া বিরোধী প্রসিকিউটরের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি।

তিনি বলেন, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

২০২৩-২০২৫ সময়কালের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের শ্রমভিসার কোটা গত বছর বাড়িয়েছে মেলোনি সরকার। এখন এই কোটা চার লাখ ৫২ হাজার। আগের তিন বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে ইতালি মাত্র ৩০ হাজার ৮৫০টি ভিসা ইস্যু করেছিল।

মেলোনি বলেন, ভিসাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ‘আতঙ্কজনক’ তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কিছু অঞ্চল থেকে (বিশেষ করে কাম্পানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আবেদন করা হয়েছে।

মেলোনির দপ্তর থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় বলা হয়েছে, ‘‘এত বেশিসংখ্যক আবেদনের বিপরীতে কাজের ভিসা পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক কাজের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। কাম্পানিয়াতে এর হার তিন শতাংশেরও কম।’’

তিনি জানান, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র প্রায় ১৫ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে প্রবেশের অধিকার নেই এমন অভিবাসীদেরও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে।

দেশটির মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলোনি। ১৩ থেকে ১৫ জুন ইতালিতে জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের পর এই অনিয়ম রোধে নতুন ব্যবস্থা পাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭৪ জন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।