ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

মাহুতকে পায়ে পিষে হত্যা, হাতিকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
  • / 48

প্রতীকী ছবি

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মাহুতকে হত্যা করেছে এক হাতি। আর এই অভিযোগেই হাতিটিকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। পরে তাকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়। স্থানীয় বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই হাতিটির নাম নানকি। নরেন্দ্র নামে মাহুতের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ হাতিটিকে ধরে এনে থানার বাইরে বেঁধে রেখেছে। পরে খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরেও।

মূলত নানকিকে সারা রাত বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং পরদিন সকালে মুক্ত করার সময় সে রেগে গিয়ে ওই মাহুতকে হত্যা করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নানকির দেখভাল করত ৫ জন। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াত হাতিটিকে নিয়ে। হাতি দেখে লোকজন যে টাকা দিত, তা দিয়েই পেট চলত সবার। এছাড়া মাহুত নরেন্দ্রকে বেশ পছন্দও করত নানকি। কিন্তু সারা রাত একা বেঁধে রাখাতেই চটে যায় সে।

গত বুধবার রাতে ভানপুর ব্রিজের কাছে ফাঁকা জমিতে নানকির মাহুত নরেন্দ্র তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়। সারা রাত ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে নানকি। পরেরদিন সকালে নানকির কাছে গেলেই, মাহুতকে শুঁড়ে জড়িয়ে বেশ কয়েকবার আছাড় দিয়ে, পিষে মারে হাতিটি। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

যদিও মৃত ওই মাহুতের বন্ধুদের দাবি, অতিরিক্ত গরমের কারণেই হিংস্র হয়ে উঠেছিল হাতিটি। এর আগেও এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছিল নানকি। দুই বছর আগে এক ব্যক্তিকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে সে। আর গত বছর এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে।

পুলিশ ইন্সপেক্টর সুরেশ চন্দ্র নগর বলেন, ‘হাতিটিকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, হাতিটিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি। আপাতত হাতিটি শান্তই আছে। কোনও ক্ষতি করেনি। মাহুতের এক বন্ধু হাতিটির ওপর নজর রাখছেন।’

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হাতিটি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং সে এর আগেও একজনকে মেরে ফেলেছিল বলে মাহুতের বন্ধুদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি এসব বিষয়ে শুনেছেন।

মূলত হত্যার আগে হাতিটি ওই মাহুতকে তুলে নিয়ে কয়েকবার মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে তারপর তাকে পায়ে পিষে মারে।

নিহতের ভাগ্নে দীপক কাপাডিয়া দাবি করেছেন, হাতিটি দুই বছর আগে একজনকে হত্যা করেছিল এবং গত বছরও একজনকে আক্রমণ করেছিল। তিনি বলেন, হাতিটিকে বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

মাহুতকে পায়ে পিষে হত্যা, হাতিকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ

আপডেট সময় : ১১:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

 

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মাহুতকে হত্যা করেছে এক হাতি। আর এই অভিযোগেই হাতিটিকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। পরে তাকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়। স্থানীয় বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই হাতিটির নাম নানকি। নরেন্দ্র নামে মাহুতের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ হাতিটিকে ধরে এনে থানার বাইরে বেঁধে রেখেছে। পরে খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরেও।

মূলত নানকিকে সারা রাত বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং পরদিন সকালে মুক্ত করার সময় সে রেগে গিয়ে ওই মাহুতকে হত্যা করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নানকির দেখভাল করত ৫ জন। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াত হাতিটিকে নিয়ে। হাতি দেখে লোকজন যে টাকা দিত, তা দিয়েই পেট চলত সবার। এছাড়া মাহুত নরেন্দ্রকে বেশ পছন্দও করত নানকি। কিন্তু সারা রাত একা বেঁধে রাখাতেই চটে যায় সে।

গত বুধবার রাতে ভানপুর ব্রিজের কাছে ফাঁকা জমিতে নানকির মাহুত নরেন্দ্র তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়। সারা রাত ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে নানকি। পরেরদিন সকালে নানকির কাছে গেলেই, মাহুতকে শুঁড়ে জড়িয়ে বেশ কয়েকবার আছাড় দিয়ে, পিষে মারে হাতিটি। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

যদিও মৃত ওই মাহুতের বন্ধুদের দাবি, অতিরিক্ত গরমের কারণেই হিংস্র হয়ে উঠেছিল হাতিটি। এর আগেও এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছিল নানকি। দুই বছর আগে এক ব্যক্তিকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে সে। আর গত বছর এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে।

পুলিশ ইন্সপেক্টর সুরেশ চন্দ্র নগর বলেন, ‘হাতিটিকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, হাতিটিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি। আপাতত হাতিটি শান্তই আছে। কোনও ক্ষতি করেনি। মাহুতের এক বন্ধু হাতিটির ওপর নজর রাখছেন।’

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হাতিটি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং সে এর আগেও একজনকে মেরে ফেলেছিল বলে মাহুতের বন্ধুদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি এসব বিষয়ে শুনেছেন।

মূলত হত্যার আগে হাতিটি ওই মাহুতকে তুলে নিয়ে কয়েকবার মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে তারপর তাকে পায়ে পিষে মারে।

নিহতের ভাগ্নে দীপক কাপাডিয়া দাবি করেছেন, হাতিটি দুই বছর আগে একজনকে হত্যা করেছিল এবং গত বছরও একজনকে আক্রমণ করেছিল। তিনি বলেন, হাতিটিকে বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।