ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা তরমুজ খেয়ে ভুল করছেন না তো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / 77
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মিষ্টি এবং রসালো তরমুজ খাওয়ার সময় এখন। বাইরে সবুজ আর ভেতরে লাল রঙের এই গ্রীষ্মকালীন ফল আমরা সবাই পছন্দ করি। এটি সুপার হাইড্রেটিং এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের ঠান্ডা করে। তাছাড়া এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

গরমে রেফ্রিজারেটরে রাখা তরমুজের টুকরো খেলে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তবে এই অভ্যাস আপনার মোটেও ভালো নয় দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, বিপদ এড়াতে তরমুজ কখনো ফ্রিজে রেখে খাবেন না।

তরমুজ সবারই প্রিয় ফল এটি। শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

এছাড়া তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। এমনকি তরমুজে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদানটি ক্যানসারের বিরুদ্ধেও কাজ করে। গরমে এক ফালি ঠান্ডা তরমুজ মুহূর্তেই সব ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। তবে অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খনি কিংবা বাকি অংশ সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে।

এই পদ্ধতি একদমই ভুল। কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা হতে পারে বিপজ্জনক। যদিও এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা খাবার বা ফল রাখার সময় না জেনেই কিছু কিছু ভুল করে ফেলি। যার থেকে হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে এ সময় আম, জাম কিংবা লিচুর মতো রসালো ভালো রাখতে ফ্রিজে রেখে বরং সেগুলো নষ্ট করে ফেলি।

ফ্রিজে রাখা ফল খেতে তৃপ্তিদায়ক হলেও তা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য রসালো ফলের মতো তরমুজও সবসময় ফ্রিজের বাইরে রাখতে হবে। কারণ তা কম তাপমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাটা অবস্থায় ফল ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অধিদফতরের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরের তাপমাত্রায় তরমুজ বা আমের মতো ফল রাখা উচিত। এগুলো বাইরে রাখলে ফলের মধ্যে যেসব অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে তা ভালো থাকে।

গবেষণা বলছে, ফ্রিজে তরমুজ রাখলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য ঘরোয়া তাপমাত্রায় তরমুজ রাখলে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হবে আর এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। তাই খুব প্রয়োজন না থাকলে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়, আর যদিও রাখেন তাহলে বেশিদিন রেখে খাবেন না।

আবার ফল ও সবজি কখনো ফ্রিজে একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবসময় আলাদা করে রেখে দিন। কারণ ফল ও সবজি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ছেড়ে দেয়।

সূত্র: কৃষিজাগরণ/ইন্ডিয়াডটকম/এনডিটিভি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা তরমুজ খেয়ে ভুল করছেন না তো?

আপডেট সময় : ০৪:২০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

 

মিষ্টি এবং রসালো তরমুজ খাওয়ার সময় এখন। বাইরে সবুজ আর ভেতরে লাল রঙের এই গ্রীষ্মকালীন ফল আমরা সবাই পছন্দ করি। এটি সুপার হাইড্রেটিং এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের ঠান্ডা করে। তাছাড়া এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

গরমে রেফ্রিজারেটরে রাখা তরমুজের টুকরো খেলে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তবে এই অভ্যাস আপনার মোটেও ভালো নয় দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, বিপদ এড়াতে তরমুজ কখনো ফ্রিজে রেখে খাবেন না।

তরমুজ সবারই প্রিয় ফল এটি। শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

এছাড়া তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। এমনকি তরমুজে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদানটি ক্যানসারের বিরুদ্ধেও কাজ করে। গরমে এক ফালি ঠান্ডা তরমুজ মুহূর্তেই সব ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। তবে অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খনি কিংবা বাকি অংশ সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে।

এই পদ্ধতি একদমই ভুল। কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা হতে পারে বিপজ্জনক। যদিও এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা খাবার বা ফল রাখার সময় না জেনেই কিছু কিছু ভুল করে ফেলি। যার থেকে হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে এ সময় আম, জাম কিংবা লিচুর মতো রসালো ভালো রাখতে ফ্রিজে রেখে বরং সেগুলো নষ্ট করে ফেলি।

ফ্রিজে রাখা ফল খেতে তৃপ্তিদায়ক হলেও তা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য রসালো ফলের মতো তরমুজও সবসময় ফ্রিজের বাইরে রাখতে হবে। কারণ তা কম তাপমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাটা অবস্থায় ফল ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অধিদফতরের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরের তাপমাত্রায় তরমুজ বা আমের মতো ফল রাখা উচিত। এগুলো বাইরে রাখলে ফলের মধ্যে যেসব অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে তা ভালো থাকে।

গবেষণা বলছে, ফ্রিজে তরমুজ রাখলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য ঘরোয়া তাপমাত্রায় তরমুজ রাখলে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হবে আর এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। তাই খুব প্রয়োজন না থাকলে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়, আর যদিও রাখেন তাহলে বেশিদিন রেখে খাবেন না।

আবার ফল ও সবজি কখনো ফ্রিজে একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবসময় আলাদা করে রেখে দিন। কারণ ফল ও সবজি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ছেড়ে দেয়।

সূত্র: কৃষিজাগরণ/ইন্ডিয়াডটকম/এনডিটিভি