ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

বুদ্ধিমান মুরগির বিশ্ব রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / 61
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কানাডার নাগরিক এমিলি ক্যারিংটন পাঁচটি মুরগি কিনেছিলেন ডিমের জন্য। এরপরেই তার মাথায় একটি প্রশ্ন এলো। তিনি ভাবতে লাগলেন— মানুষ ভাবে মুরগির বুদ্ধি কম। আসলেই কী তাই? এরপরেই তিনি ওই মুরগিগুলোকে চৌম্বকীয় অক্ষর, রং ও সংখ্যা শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।

একটি মুরগি খুব দ্রুত এসব অক্ষর, রং এবং সংখ্যা চিনে নেয়। বুদ্ধিমান মুরগিটির নাম এখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে।

শুরুতে এমিলি হাইলিন প্রজাতির মুরগিগুলোকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। মুরগিগুলোর কাজ ছিল— নির্দিষ্ট অক্ষরও সংখ্যা ঠোকরানো। এমিলি যে অক্ষর বা সংখ্যা উচ্চারণ করতেন মুরগিগুলো সেইসব অক্ষর ও সংখ্যা ঠোকরানো শুরু করতো। ধীরে ধীরে অক্ষর ও সংখ্যাগুলো শনাক্ত করা শিখে যায় মুরগিগুলো।

অক্ষরগুলো এলোমেলো করে দিয়ে উচ্চারণ করলেও তারা ঠিক ঠিক দেখিয়ে দিতে পারে। এই পাঁচটি মুরগির মধ্যে একটি মুরগি সবচেয়ে এগিয়ে, সেটির নাম লেসি। লেসি অল্প সময়ের মধ্যে অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করতে পারে। এরপরই এমিলি মুরগি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করানোর পরিকল্পনা করেন এমিলি।

এক মিনিটে মুরগিগুলো কত বেশি সংখ্যা ও অক্ষর শনাক্ত করতে পারে, সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হলো। এগুলোর মধ্যে লেসি নামের মুরগিটি এক মিনিটে ছয়টি অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে। লেসির জন্য আলাদা একটি ক্যাটাগরি তৈরি করে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘এক মিনিটে মুরগির সর্বোচ্চ শনাক্তকরণ’।

লেসিকে নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড আলাদা ইউটিউবও খুলেছে। সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য থিংকিং চিকেন’।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বুদ্ধিমান মুরগির বিশ্ব রেকর্ড

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

কানাডার নাগরিক এমিলি ক্যারিংটন পাঁচটি মুরগি কিনেছিলেন ডিমের জন্য। এরপরেই তার মাথায় একটি প্রশ্ন এলো। তিনি ভাবতে লাগলেন— মানুষ ভাবে মুরগির বুদ্ধি কম। আসলেই কী তাই? এরপরেই তিনি ওই মুরগিগুলোকে চৌম্বকীয় অক্ষর, রং ও সংখ্যা শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।

একটি মুরগি খুব দ্রুত এসব অক্ষর, রং এবং সংখ্যা চিনে নেয়। বুদ্ধিমান মুরগিটির নাম এখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে।

শুরুতে এমিলি হাইলিন প্রজাতির মুরগিগুলোকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। মুরগিগুলোর কাজ ছিল— নির্দিষ্ট অক্ষরও সংখ্যা ঠোকরানো। এমিলি যে অক্ষর বা সংখ্যা উচ্চারণ করতেন মুরগিগুলো সেইসব অক্ষর ও সংখ্যা ঠোকরানো শুরু করতো। ধীরে ধীরে অক্ষর ও সংখ্যাগুলো শনাক্ত করা শিখে যায় মুরগিগুলো।

অক্ষরগুলো এলোমেলো করে দিয়ে উচ্চারণ করলেও তারা ঠিক ঠিক দেখিয়ে দিতে পারে। এই পাঁচটি মুরগির মধ্যে একটি মুরগি সবচেয়ে এগিয়ে, সেটির নাম লেসি। লেসি অল্প সময়ের মধ্যে অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করতে পারে। এরপরই এমিলি মুরগি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করানোর পরিকল্পনা করেন এমিলি।

এক মিনিটে মুরগিগুলো কত বেশি সংখ্যা ও অক্ষর শনাক্ত করতে পারে, সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হলো। এগুলোর মধ্যে লেসি নামের মুরগিটি এক মিনিটে ছয়টি অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে। লেসির জন্য আলাদা একটি ক্যাটাগরি তৈরি করে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘এক মিনিটে মুরগির সর্বোচ্চ শনাক্তকরণ’।

লেসিকে নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড আলাদা ইউটিউবও খুলেছে। সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য থিংকিং চিকেন’।