ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

আসামে বন্যায় মৃত্যু ৩৪, পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / 65

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের বিভিন্ন অঞ্চল ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে। গতকাল বন্যাকবলিত মরিগাঁও জেলা নৌকায় চলাচল করছেন গ্রামবাসী। ছবি : এপিআই

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করছে রাজ্যটি। বন্যার কারণে রাজ্যটির ১৯ জেলার প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আসাম রাজ্য সরকার সূত্র বলছে, টানা বৃষ্টির কারণে বিপত্সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিরি, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশসহ বিভিন্ন নদী। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, আবহাওয়া বিভাগ আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।

আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

আসামের বিশ্বনাথ, কাছাড়া, চড়াইদেহ, দারং, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাটা, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, শিবসাগর, সোনিতপুর, মরিগাঁও, নগাঁও, মাজুলি, করিমগঞ্জ, তামুলপুর, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি জেলার অবস্থা শোচনীয়।

আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

এসব শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে আট হাজার ১৪২ জন মানুষ। শিগগিরই আরো ৬৪টি শিবির খোলা হবে বলে জানিয়েছে দপ্তর। বন্যার কারণে গণ্ডার, বুনো মহিষ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়ছে।

আসাম বন দপ্তর জানায়, কাজিরাঙার ২৩৩টি ফরেস্ট ক্যাম্পের ৬২টিই এখন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিবছরই কাজিরাঙার নিচু অংশ জলমগ্ন হলে ৭১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বন্য প্রাণীগুলো কার্বি আংলং পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।

সে সময় দ্রুতগতির যানবাহনের ধাক্কায় বহু পশু মারা পড়ে। এবার বন্য প্রাণী বাঁচাতে ওই জাতীয় সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নজর দিচ্ছে আসম বন দপ্তর।

সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

আসামে বন্যায় মৃত্যু ৩৪, পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করছে রাজ্যটি। বন্যার কারণে রাজ্যটির ১৯ জেলার প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আসাম রাজ্য সরকার সূত্র বলছে, টানা বৃষ্টির কারণে বিপত্সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিরি, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশসহ বিভিন্ন নদী। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, আবহাওয়া বিভাগ আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।

আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

আসামের বিশ্বনাথ, কাছাড়া, চড়াইদেহ, দারং, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাটা, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, শিবসাগর, সোনিতপুর, মরিগাঁও, নগাঁও, মাজুলি, করিমগঞ্জ, তামুলপুর, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি জেলার অবস্থা শোচনীয়।

আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

এসব শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে আট হাজার ১৪২ জন মানুষ। শিগগিরই আরো ৬৪টি শিবির খোলা হবে বলে জানিয়েছে দপ্তর। বন্যার কারণে গণ্ডার, বুনো মহিষ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়ছে।

আসাম বন দপ্তর জানায়, কাজিরাঙার ২৩৩টি ফরেস্ট ক্যাম্পের ৬২টিই এখন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিবছরই কাজিরাঙার নিচু অংশ জলমগ্ন হলে ৭১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে বন্য প্রাণীগুলো কার্বি আংলং পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।

সে সময় দ্রুতগতির যানবাহনের ধাক্কায় বহু পশু মারা পড়ে। এবার বন্য প্রাণী বাঁচাতে ওই জাতীয় সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নজর দিচ্ছে আসম বন দপ্তর।

সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি