ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ট্রাম্পের রানিং মেট কে এই জেডি ভ্যান্স ?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / 73
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওহাইও রাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে রানিং মেট মনোনীত করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১৫ জুলাই) মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ৩৯ বছর বয়সি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দেন ট্রাম্প। কারণ একসময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন ভান্স। কে এই ভ্যান্স? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জেডি ভ্যান্স ২০১৬ সালে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ও টুইটারে ট্রাম্পকে নিয়ে কঠিন সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ট্রাম্পের লোক নই। আমি কখনোই তাকে পছন্দ করি না। তাকে নির্বোধ মনে করি।’

এমনকি ট্রাম্পকে আমেরিকার হিটলার উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছিলেন তিনি। পরে ধীরে ধীরে তার মানসিকতায় পরিবর্তন আসে।

ওই বছরই জেডি ভ্যান্সের একটি স্মৃতিকথামূলক বই প্রকাশিত হয়। নাম হিলবিলি এলিজি। এ বই তাকে দেশজুড়ে খ্যাতি এনে দেয়। বইটি নিই ইয়র্ক টাইমসের সর্বোচ্চ বিক্রীত (বেস্ট সেলার) বই। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়।

ওই বই থেকে জানা যায়, ওহাইওর মিডলটাউনে তার জন্ম। পুরো নাম জেমস ডোনাল্ড বোম্যান ভ্যান্স। তার মা মাদকাসক্ত ছিলেন। ছোটবেলায় বাবা তাদেরকে ছেড়ে চলে যান। পরে নানা-নানির কাছে বড় হন ভ্যান্স।

২০০৩ সালে হাই স্কুল পাশের পরই মার্কিন মেরিন সেনাবাহিনীতে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে শেষের দিকের ছয় মাস তিনি ইরাকে কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করেন। তখন থেকেই রিপাবলিকান রাজ্য সিনেটর বব শুলারের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। ২০১৩ সালে ইয়েল ল স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি।

আইন স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেই তিনি সিনেটর জন কার্নির সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এছাড়া এক বছর তিনি মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড বানিংয়ের আইন ক্লার্ক হিসাবেও কাজ করেন। আইন সংস্থা সিডলি অস্টিনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১৬ সালে প্রযুক্তি শিল্পে পুঁজিবাদী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চলে আসনে সান ফ্রান্সিস্কো।

২০১৭ সালে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রেভেলোশন এলএলসিতে যোগ দিয়ে ওহাইতো ফিরে আসেন তিনি।

২০২২ সালে ওহাইওর সিনেট নির্বাচনে লড়াই না করার ঘোষণা দেন রিপাবলিকান সিনেটর রব পোর্টম্যান। তখন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে ভ্যান্সের নাম সামনে আসে। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো ওহাইও রাজ্যের সিনেটর নির্বাচিত হন ভ্যান্স।

ইয়েল ল স্কুলে পড়ার সময়ই বংশোদ্ভুত উষা চিলুকুরির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ট্রাম্পের রানিং মেট কে এই জেডি ভ্যান্স ?

আপডেট সময় : ০৪:০৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

 

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওহাইও রাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে রানিং মেট মনোনীত করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১৫ জুলাই) মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ৩৯ বছর বয়সি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দেন ট্রাম্প। কারণ একসময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন ভান্স। কে এই ভ্যান্স? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জেডি ভ্যান্স ২০১৬ সালে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ও টুইটারে ট্রাম্পকে নিয়ে কঠিন সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ট্রাম্পের লোক নই। আমি কখনোই তাকে পছন্দ করি না। তাকে নির্বোধ মনে করি।’

এমনকি ট্রাম্পকে আমেরিকার হিটলার উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছিলেন তিনি। পরে ধীরে ধীরে তার মানসিকতায় পরিবর্তন আসে।

ওই বছরই জেডি ভ্যান্সের একটি স্মৃতিকথামূলক বই প্রকাশিত হয়। নাম হিলবিলি এলিজি। এ বই তাকে দেশজুড়ে খ্যাতি এনে দেয়। বইটি নিই ইয়র্ক টাইমসের সর্বোচ্চ বিক্রীত (বেস্ট সেলার) বই। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়।

ওই বই থেকে জানা যায়, ওহাইওর মিডলটাউনে তার জন্ম। পুরো নাম জেমস ডোনাল্ড বোম্যান ভ্যান্স। তার মা মাদকাসক্ত ছিলেন। ছোটবেলায় বাবা তাদেরকে ছেড়ে চলে যান। পরে নানা-নানির কাছে বড় হন ভ্যান্স।

২০০৩ সালে হাই স্কুল পাশের পরই মার্কিন মেরিন সেনাবাহিনীতে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে শেষের দিকের ছয় মাস তিনি ইরাকে কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করেন। তখন থেকেই রিপাবলিকান রাজ্য সিনেটর বব শুলারের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। ২০১৩ সালে ইয়েল ল স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি।

আইন স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেই তিনি সিনেটর জন কার্নির সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এছাড়া এক বছর তিনি মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড বানিংয়ের আইন ক্লার্ক হিসাবেও কাজ করেন। আইন সংস্থা সিডলি অস্টিনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১৬ সালে প্রযুক্তি শিল্পে পুঁজিবাদী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চলে আসনে সান ফ্রান্সিস্কো।

২০১৭ সালে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রেভেলোশন এলএলসিতে যোগ দিয়ে ওহাইতো ফিরে আসেন তিনি।

২০২২ সালে ওহাইওর সিনেট নির্বাচনে লড়াই না করার ঘোষণা দেন রিপাবলিকান সিনেটর রব পোর্টম্যান। তখন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে ভ্যান্সের নাম সামনে আসে। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো ওহাইও রাজ্যের সিনেটর নির্বাচিত হন ভ্যান্স।

ইয়েল ল স্কুলে পড়ার সময়ই বংশোদ্ভুত উষা চিলুকুরির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।